করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বা বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই ধরনের সঙ্গে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পাওয়া নতুন করোনাভাইরাসের ধরনের সঙ্গে মিল রয়েছে।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা গত মাসে ১৭টি নতুন জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করেছেন। যার মধ্যে পাঁচটিতে করোনার নতুন গতিপ্রকৃতি বা ধরনের স্ট্রেইন পাওয়া গেছে।
বিসিএসআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন যে স্ট্রেইন পাওয়া গেছে, সেটি আগের থেকে ৭০ গুণ বেশি গতিতে ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে। যে কারণে যুক্তরাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।
বিজ্ঞানী সেলিম খান বলেন, করোনার সর্বশেষ যে সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাতে ভাইরাসটির দুটি স্পাইকে প্রোটিন মিউটেশন পাওয়া গেছে। গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা চালানো হয়। যার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত নতুন করোনাভাইরাসের হুবহু মিল রয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য আতঙ্কের।
যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ছাড়াও করোনার নতুন এই ধরন বা সিকোয়েন্স রাশিয়া ও পেরুতে পাওয়া গেছে। তবে রাশিয়া ও পেরুতে করোনার নতুন সিকোয়েন্সের মাত্র একটি করে মিউটেশন পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশে একই সিকোয়েন্সের ৫টি মিউটেশন পাওয়া গেছে। যা রীতিমত আতঙ্কের।