সাবেক মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন কথা বলতে চান না জেলাটির তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। তিনি সদ্য রাজশাহীর এসপি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
বুধবার সকালে জেলা পুলিশ লাইনে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এসপি মাসুদ হোসেন বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড কক্সবাজারের ঘটনা। এটা রাজশাহীর ঘটনা না। আর এ বিষয়ে একটা মামলা তদন্তাধীন আছে। এমতাবস্থায় তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে আমার কথা বলা ঠিক হবে না। যেহেতু এটা তদন্তাধীন আছে, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।
কক্সবাজারে মাদকের কারণে প্রচুর ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীও একটি মাদকের জোন। এখানেও সেই ধরনের ক্রসফায়ারের মতো ঘটনা ঘটবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে উত্তরে এসপি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন হিসাবে যে সকল মাদক আসে বছরে হিসাব প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮০ ভাগ অর্থাৎ ৭ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদক আসে কক্সবাজার হয়ে। এই যে চক্র আছে, যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করে, ব্যবসাটা নিয়ন্ত্রণ করত। আপনাদের এখানেও আছে। আমরা পেশাদারিত্বের সাথে চেষ্টা করব মাদক নিয়ন্ত্রণের। আমাদের সকল কাজ হবে পেশাদারিত্বের সাথে, আইনের মাধ্যমে। আইনের মাধ্যমে যেটা করা দরকার আমরা সেটা করব।
তিনি বলেন, আমাদের যে কোন কাজ হবে পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং অবশ্যই দক্ষতার সাথে। আমরা রাজশাহীর আট থানার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজশাহী গড়তে চাই। সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তার পরিচয় সন্ত্রাসী। কোন দল, কোন মত আমরা তা চিনি না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। আর মাদকের ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি আছে। সেটার পরিবর্তন হয়নি। আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করব।
মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সুমন দে, ইফতেখায়ের আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন