রাণীশংকৈলে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই ধ্বংসের পথে রাজা টংকনার্থের রাজবাড়িটি
logo
ঢাকা, রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাণীশংকৈলে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই ধ্বংসের পথে রাজা টংকনার্থের রাজবাড়িটি

মাহাবুব আলম ঠাকুরগাও প্রতিনিধি
নভেম্বর ১৪, ২০২০ ৪:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত মালদুয়ার জামিদার টংক নাথের রাজবাড়ি। যা ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। টংকনাথের পিতার নাম বুদ্ধি নাথ চৌধূরী,বুদ্ধিনাথ চৌধূরী ছিলেন মৈথিলি ব্রাক্ষণ এবং কাতিহারের ঘোষ বাগোয়ালা বংশীয় জমিদারের শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত।
নিঃসন্তান বৃদ্ধগোয়ালা জমিদার কাশিবাসে যাওয়ার সময় সমস্ত জমিদারি সেবায়েতের তত্ত্বাবধানে রেখে যান এবং তাম্রপাতে দলিল করে যান । তিনি কাশি থেকে ফিরে না এলে শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত এই জমিদারির মালিক হবেন। পরে বৃদ্ধ জমিদার ফিরে না আসার কারণে বুদ্ধিনাথ চৌধুরী জমিদারী পেয়ে যান। তবে অনেকে মনে করেন এই ঘটনা বুদ্ধিনাথ চৌধুরীর দু-এক পুরুষ পূর্বেরও হতে পারে।
রাজবাড়ি নির্মাণের কাজ বুদ্ধিনাথ চৌধূরী শুরু করেলও শেষ করতে পারেনি । এটির কাজ সমাপ্ত করেন রাজা টংকনাথ। বৃটিশ সরকারের কাছে টংকনার্থ রাজা উপাধী পান। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রাজ বাড়িটি নির্মিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পর থেকেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়় রাজবাড়িটি। যা কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে । অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে রাজবাড়ীটি সংস্কারের অভাবে এখন ধ্বংসস্তূপ প্রায়। স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবী রাজা টংকনাথের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এটির সংস্কার ও সংরক্ষণ করা অতি জরুরী ।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।