নেভেনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন, উদ্ধারে সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনী-বিজিবি
logo
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেভেনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন, উদ্ধারে সেনাবাহিনী-বিমানবাহিনী-বিজিবি

জেলা প্রতিনিধি | দৈনিক বিবর্তন
মার্চ ২২, ২০২১ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ৯ ও ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুন।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বালুখালী ক্যাম্প ৮-ই, ডব্লিউতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাতাসের গতি বেশি হওয়ায় আগুন দ্রুত ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্যাম্পের সহস্রাধিক ঘর পুড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রাও।

এদিকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সাত ইউনিট। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবি।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বালুখালীর ৮-ই, ডব্লিউতে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে ক্যাম্পের ওই ব্লকটি পুড়ে যায়।

বালুখালি ক্যাম্প ৮ ই এর ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম জানান, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাতাসের গতি বেশি হওয়ার কারণে আগুন বিভিন্ন ব্লকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনসহ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা। এই মুহূর্তে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রাণহানি এড়াতে বিভিন্ন ব্লক থেকে রোহিঙ্গা সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর একটি টিম কাজ করছে। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সড়কের উপর ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা অপেক্ষা করার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

রোহিঙ্গা নেতা মো. রফিক বলেন, ‘বিকালে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়, পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে।’

আগুনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ বলনে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের সূত্রপাত হলেও আরও সাত ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আগুনে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার ঘর পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে ডিসি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ট্যাংকারের পানি শেষ হয়ে গেছে। এখন সেনাবাহিনীর ট্যাংকার থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরে ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছেন বলে আমরা খবর পাইনি।

কক্সবাজারের ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আতিকুর রহমান বলেন, আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। ব্লক থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনো হতাহতের খবর পাইনি আমরা।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।