বরগুনার তালতলীতে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিশুদের অধিকার নিরাপত্তা বিষয়ে উদ্ভূতিকরণ ও সচেতনতা মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ১৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় উপজেলার লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সচেতনতা মূলক সেমিনারটির আয়োজন করেন ফেইথ-ইন-এ্যাকশন।
শ্যামল মালা সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাউপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো: জালাল উদ্দিন মাস্টার । আর উপস্থিত ছিলেন লাউপাড়া সাগর সৈকত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক গোলাম হায়দার,এনজিও ফোরামের সভাপতি মোঃ আসাদুল ইসলাম, ফেইথ-ইন- এ্যাকশন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. অনিক রনি দত্ত মাঠ সংগঠক মিস্টার নির্মল মন্ডল, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক।
এ সময় প্রধান অতিথি মো: জালাল উদ্দিন মাস্টার বলেন, আমি বিশ্বাস করি, ‘শিশু গড়বে সোনার দেশ, যদি সে পায় পরিবেশ’। বর্তমান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ শিশুদেরকে সোনার দেশ দেয়ার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখনও ৩৫ লাখ শিশু বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। আমাদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমাদের দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে এবং এসডিজি’র লক্ষ্যসমূহ অর্জন করতে হলে শিশুর প্রতি কোনো বৈষম্য করা যাবে না।তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের মৌলিক অধিকারসমূহ যথা; শিক্ষা, পুষ্টি, খাদ্য ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে, কোনভাবেই তাদের মৌলিক অধিকারসমূহ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ তিনি শিশুর প্রতি সকল প্রকারের সহিংসতা বন্ধ করার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সবকিছু মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। গুম, অপহরণ ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি সম্পর্কে গণমাধ্যমে সূত্রে জানা মাত্রই আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। কারণ এগুলো রোধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ তবে শিশুর প্রতি সকল সহিংসতা ও বঞ্চনা রোধ করা শুধু সরকারেরই দায়িত্ব নয়, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক মি. অনিক রনি দত্ত বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে কোনো ধরনের বৈষম্য করা যাবে না বলে বলা আছে। কিন্তু আমরা এখনো শিশুর অধিকার সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন হতে পারিনি। সকল শিশুর নিরাপত্তা প্রদান করা রাষ্ট্রের আমাদেরও দায়িত্ব। শিশুদের অন্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ন্যায় মৌলিক চাহিদাসমূহ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে এ দায়িত্ব । তাই সকলের যথাযথভাবে এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় এনজিও ফোরামের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুরা আগামীর ভবিষ্যত। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিকশিত হওয়ার পরিবেশ করে দেয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। শিশুদের অধিকার নিশ্চিত হলে আমরা একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারবো।