বহুত বড় চিটারি-বাটপারি কইরি আমি প্রেসিডেন্ট হইছি। সব চিটারের দলের সর্দার আমি। তুমি না হয়, আসতে চায়া আসলে না, কাকে যে পাঠাতে চাইলে সে কই? এমন এক আপত্তিকর অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার।
ফাঁস হওয়া অডিওর চার মিনিট ২৯ সেকেন্ডের ছাত্রলীগ নেতা বলতেছে, এক নারী ছাত্রলীগ নেত্রীকে তার কাছে মেয়ে পাঠানোর কথা। অডিওতে রানাকে বলতে শোনা যায় ‘তুমি আমার সাথে নাটক করিচ্ছো তাই না? মেয়েটি তাকে বলেন, কিসের নাটক ভাইয়া? রানা বলেন, তোমার কথা-কাজে মিল পাচ্ছি না। চিটারি করতে পারবা না
মেয়েটি তাকে বলেন, ‘এগুলো তো ভাইয়া অবান্তর কথা, আর আমার ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট দরকার নাই। আমি যথেষ্ট ভালো আছি। সংগঠনটাকে ভালোবেসেই আসছিলাম। রানা তখন বলেন, তাহলে শোন ঠিক আছে আর শান্ত-মান্তর কোনো বেল নাই। মেয়েটি বলেন, তো ভাইয়া আপনি মেয়ের কথা কালকে বলছিলেন, তো আমি ছবি পাঠাইছিলাম।’
রানা বলেন, ‘দেখ দেখ পাঠাতে পারো নাকি? মেয়েটি বলেন, উনিও তো ফ্যামিলির সাথে থাকে। রানা তখন বলেন এখন ৮টা বাজে। কী এমন রাত? দেখ দেখ ফোন দাও। পাঠাও। কেউ যেন না জানে।’ মেয়েটি তাকে বলেন, কে জানবে, আপনি আমাকে ভরসা করতে পারেন।’ এর আগে এক নারীর সাথে রানার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ২০১৬ সালে রাজশাহী কলেজ মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের ৬ নম্বর যুগ্ম-আহ্বায়ক হন। টানা তিন বছর এই কমিটির সক্রিয় নেতা ছিলেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের দিকে ছাত্রদলের কমিটিতে থাকা অবস্থায় তিনি ঢাকায় গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার জন্য তদবির শুরু করেন। পরে হয়ে যান রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
অভিযোগ রয়েছে, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের বাড়ির ফুটফরমায়েশখাটাসহ ছোট-বড় বিভিন্ন কাজ করে দিতেন রানা। যে কারণে জয়ের মা-বাবার আদর-স্নেহ পান তিনি। যা তার রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এ ঘটনায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো মুখ খুলেননি। এছাড়া যে নারী কর্মীর সাথে অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে তারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল ইসলাম রানা সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের ভেতরের কেউ ষড়যন্ত্র করছে। জয় ভাই ও তার পরিবারের সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। জয় ভাইয়ের মা শুধু আমাকে নয়, সারাদেশের নেতাকর্মীদের ভালোবাসেন। আমি জয় ভাইকে মেইনটেন করতাম। তিনি যখন সভাপতি হননি, নেতা ছিলেন না, তখনই তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। জয় ভাই আমাকে অনেক স্নেহ করেন। ভাই ছাড়াও অনেকের সুপারিশ ছিল আমাকে সভাপতি করার জন্য।