৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গত ২৩ জুলাই। ২৪ জুলাই জেলেদের সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যেতে পারেননি। এরপর তারা গত ২৭-২৮ জুলাই একযোগে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যান। অবশেষে স্বল্পসংখ্যক ইলিশের দেখা পেয়েছেন জেলেরা। তাই কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে এসেছে ফকিরহাট,নিদ্রাবাজার ও ছকিনা জেলেদের মাঝে । বিরাজ করছে প্রাণচাঞ্চল্য।
জেলেদের বাজার, তেল, বরফ নিয়ে সাগর ছুটে খালি হাতে ফিরতে ফিরতে জেলেও মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। জেলেরা এই প্রথম কিছু ইলিশ পেয়েছেন। যা বিক্রি করে কোনমতে পুরনো খরচ কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
জেলেরা জানান,গত কয়েক মাস নৌকা-জাল নিয়ে নদীতে নেমে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হতো । নৌকার জ্বালানি ও খাওয়ার খরচের টাকায় উঠতো না। মহাজনের পাওনা আর সমিতির ধারদেনা কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিল না তারা। এখন কিছুটা হলেও ইলিশ পাওয়ায় মাঝে জেলেরা সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতে পারছেন। আগামীতে যদি এভাবে ইলিশ পাওয়া অব্যাহত থাকে তাহলে জেলে এবং ব্যবসায়ীরা বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছেন।
জেলে মো. সুজন বলেন, এহন আগের চাইতে মাছ বেশি, আশা করি সামনের দিনে আরও অনেক বেশি পামু। মানষের সকল দেনা শোধ করতে পারমু ।
মো. জুয়ের হাওলাদার বলেন, আগে নদীতে নৌকা- জাল নিয়ে গেলে কোন মাছ পেতাম না। এখন কিছু মাছ পড়তেছে।
ফকির হাট মৎস্য ব্যবসায়ী এফবি সাকিল ফিসের মালিক ইউপি সদস্য মোঃ ছালাম হাওলাদার বলেন, ভরা মৌসুমে এমন বিপাকে তারা আগে কখনও পড়েননি। তবে এখন থেকে কমবেশি ইলিশ মিলছে। হয়ত খুব ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করি।