গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন রাজী বলেন, ‘হোটেল নির্মাণের সময়ই আমরা সিনেপ্লেক্সটি তৈরি করি। আমাদের সাউন্ড সিস্টেম যুক্তরাজ্য থেকে আনা এবং দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটির। ২৯ জুলাই থেকে এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে।’
সিলেট নগরীতে ২৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করছে ‘গ্র্যান্ড সিলেট সিনেপ্লেক্স ।
চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’ প্রদর্শনের মাধ্যমে এই সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন হবে।
সিলেটের বিমানবন্দর সড়কের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে সিনেপ্লেক্সটি নির্মাণ হয়েছে। গত ১৫ জুন পাঁচতারকা এই হোটেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এতদিন সিনেপ্লেক্সটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
একের পর এক সিনোম হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার মধ্যে এই সিনেপ্লেক্স চালুর বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। এর মাধ্যমে মানুষ হলে বসে ভালো ছবি দেখার সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন তারা।
গ্রান্ড সিলেট সিনেপ্লেক্সসংশ্লিষ্টরা জানান, এই সিনেপ্লেক্সে একসঙ্গে ১৭০ জন বসে সিনেমা দেখতে পারবেন। আপাতত টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ ও ৫০০ টাকা। তবে প্রতিদিন কয়টি প্রদর্শনী হবে এবং তার সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন রাজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হোটেল নির্মাণের সময়ই আমরা সিনেপ্লেক্সটি তৈরি করি। আমাদের সাউন্ড সিস্টেম যুক্তরাজ্য থেকে আনা এবং দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটির।
‘এতদিন পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু ছিল। আমাদের অতিথিরা রাতের খাবারের সঙ্গে এখানে ফ্রি সিনেমা দেখার সুযোগ পেতেন। ২৯ জুলাই থেকে এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে।’
এখানে দেশের ভালো ভালো ছবি প্রদর্শন করা হবে বলে জানান রাজী।
সিনেপ্লেক্স চালুর খবর জানাজানি হওয়ার পর মানুষের ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে রাজি বলেন, ‘মানুষ খুব খুশি সিলেটে এ রকম একটা কিছু হওয়ায়। সিলেটে তো এ রকম পরিবেশে সিনেমা দেখার সুযোগ ছিল না। তাই সবাই এটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।’
সিনেপ্লেক্স উদ্বোধনের দিন হাওয়া সিনোমার কলাকুশলীরাও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন রাজী।
চলচ্চিত্রবিষয়ক সংগঠন মুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সহসভাপতি স্থপতি রাজন দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একে একে সিলেটের সবগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সিনেমা হলে গিয়ে বড় পর্দায় দেখার জিনিস। মোবাইলে দেখে সিনেমার প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না। সিলেটে একটি সিনেপ্লেক্স চালু হওয়া খুবই ভালো খবর। সরকারও চাচ্ছে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে।’
রাজন বলেন, ‘সিনেপ্লেক্সে হয়তো একটা শ্রেণির মানুষ যেতে পারবেন। ব্যয়বহুল হওয়ায় সবাই সেখানে যেতে পারবেন না। তবে মধ্যবিত্ত শ্রেণি অন্তত হলে বসে সিনেমা দেখার স্বাদ নিতে পারবেন। এতে এই শ্রেণির তরুণদের বিনোদনের সুযোগ তৈরি হবে।’