নোয়াখালী নারীকে নির্যাতন: ৩ আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পিবিআই
logo
ঢাকা, শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী নারীকে নির্যাতন: ৩ আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পিবিআই

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক বিবর্তন.কম
অক্টোবর ১০, ২০২০ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তকারী দল।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন আসামি নুর হোসেন ওরফে বাদল, মাঈন উদ্দিন ওরফে সাজু ও আবুল কালামকে নিয়ে তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় আসামিরা তদন্তকারী দলকে ঘটনাস্থলে যাতায়াতের রাস্তা ও ঘটনাস্থল শনাক্ত করে দেখান।

এ বিষয়ে পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, দুটি মামলার মধ্যে নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই পরিদর্শক মামুনুর রশীদ পাটোয়ারী এবং ভিডিওচিত্র ভাইরালের মামলাটি তদন্ত করছেন পিটিআইয়ের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তদন্তের প্রথম দিন আজ তারা বাদল, আবুল কালাম ও সাজুকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এর আগে শুক্রবার বেগমগঞ্জ থানায় নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা দুটি মামলা পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইয়ে হস্তান্তর করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ৩৭ বছরের নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর এলাকার দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। তারা ওই নারীকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন। পরে ওই নারীকে তারা আপত্তিকর প্রস্তাব দেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা ধারণ করা ভিডিওচিত্র ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

পরে ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় পুলিশ একটি বাসা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। ওই রাতেই তিনি বাদী হয়ে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান সহযোগী নুর হোসেন ওরফে বাদলসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।

দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। নারী নির্যাতন মামলায় চারজন আসামি আবদুর রহিম, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহাগ (২১) ও নুর হোসেন ওরফে রাসেল (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী দেলোয়ার হোসেন র‌্যাব-১১ এর হেফাজতে নারায়ণগঞ্জে রিমান্ডে রয়েছেন। বর্তমানে পিবিআইয়ের কাছে থাকা আসামি বাদল, আবুল কালাম, সাজু, মাইন উদ্দিন, সাহেদ ও রহমত রিমান্ডে রয়েছেন।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।