বরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগ পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এক গৃহবধূ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৮০ বছরের এক বৃদ্ধর প্রথম স্ত্রী মারাগেলে। সন্তানরা তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করান।তাদের দ্বিতীয় সংসারে চারটি ছেলে সন্তান হয়। এর পরে কয়েক বছর আগে ঐ বৃদ্ধ প্যারালাইসিস হয়ে অসুস্থ হলে সংসারের হাল ধরন ঐ গৃহবধূ। ফকির হাট মাছ বাজারে মাছ ভেঙ্গে সংসার চালাতেন তিনি। এর মধ্যে গত বছর পৌষ মাসে ঐ গৃহবধূর সাথে পরকিয়ায় জরিয়ে পরেন স্থানীয় মাছ বাজারের এক শ্রমিকের সাথে। এরমধ্যে ঐ গৃহবধূর শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়টি নজরে পরে ঐ প্রথম স্ত্রীর মেয়ের চোখে বিষয়টি তিনি জিজ্ঞেস করলে তখন সাথে তার সাথে স্থানিয় এক ব্যাক্তির সাথে পরকীয়ার কথা জানতে পারেন এবং জানতে পারেন তিনি সন্তানসম্ভবা। এ বিষয় আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা টাকা পয়সা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানাগেছে ।
অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ,জানান স্বামী বার্ধক্যজনিত কারনে বিছানায় প্রায় দু বছর, এ জন্য তিনি স্বামী সন্তানের জন্য ফকির হাট মাছ বাজারে কাজ করে সংসার চালাতেন। অভাবের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় মাছ বাজারের শ্রমিক কদম মুন্সির ছেলে মোজাম্মেল মুন্সি (৩০) তার শারীরিক সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ঐ (গৃহবধূ)।
মোজাম্মেলকে বিয়ের কথা বলার পর কর্ণপাত করেননি। এরমাঝে সময় পেরিয়ে গেছে প্রায় পাঁচমাস। অবশেষে সাংবাদিক দের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি।
গৃহবধূর স্বামী জানান,প্রথম স্ত্রী মারাযাওয়ার পর সন্তানরা আমাকে দেখাশোনা জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করায়। কয়েক বছর আগে আমি অসুস্থ হলে,দ্বিতীয় স্ত্রী ফকির হাট মাছ বাজারে কাজ করে চার সন্তান সহ আমাদের খাওয়াতো। এখন এ রকম ন্যক্কার জনক কাজ করায় আমার স্ত্রী কাজে যেতে পারছেনা আমরা এখন না খেয়ে মরার অবস্থা। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন,যে ঘটনা তার সাথে ঘটেছে এতে করে নিন্ম আয়ের মানুষরা তাদের মা বোন ও স্ত্রী দের আর ফকির হাট মাছ বাজারে কাজে পাঠাবে। এর প্রভাব ফকির হাট মাছ বাজারের উপর পরবে। আমরা এই ঘটনার কঠিন শান্তি দাবি করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ছালাম হাওলাদার বলেন,ঐ মহিলার আয়ের উপর বেঁচেছিল পাচটি জীবন,এই ঘটনার পর তাদের পরিবারের রুজি বন্ধ হয়েগেছে, এলাকার কোন মহিলারা বাজারে কাজ করতে চায়না। আমি এ ঘটনার কঠিন বিচার দাবি করছি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.সাখাওত হোসেন (তপু) জানান, এ বিষয় আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।