আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন
logo
ঢাকা, শনিবার, ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ ৬:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আগামী বছর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্র ও শনিবার দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। 

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনে নতুন কারিকুলামের পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, প্রাথমিকসহ সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৩ সাল থেকে সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে দুইদিন করে। পাশাপাশি নতুন কারিকুলামে যারা যুক্ত হচ্ছেন তারা এখন থেকেই সপ্তাহে দুইদিন ছুটি পাবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ছুটি সপ্তাহে দুই দিন শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুধু শুক্রবার। এই ছুটি বাড়াতে প্রস্তাব করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। প্রস্তাবে বলা হয়, ছুটি বাড়ালেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো ক্ষতি হবে না। ২০২০ সালে এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত ২০২২ সাল থেকে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছিল এনসিটিবি। তবে দুই মন্ত্রণালয় চাইলে যেকোনো সময়ই বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেছিল।

বর্তমানে বিদ্যমান সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্যান্য ছুটি ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে ক্লাস চলে ২১৫ দিন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষিত হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে ১৮৫ দিন। কারণ, অনেক শনিবারে সরকারি ছুটি থাকে প্রতিবছর।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন ছুটি থাকলেও শিক্ষার্থীদের বাসার যে কাজ দেওয়া হয়, তাতে লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সিদ্ধান্ত। এছাড়া ইংরেজি মাধ্যম স্কুল এবং বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল সপ্তাহে দুই দিন ছুটি চালু রেখেছে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমে যাবে।

নবম শ্রেণিতে বিভাগ থাকছে না 

এনসিটিবি ভবনে নতুন কারিকুলামের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ২০২৪ সাল থেকে নবম শ্রেণিতে সায়েন্স, আর্টস ও কমার্স বিভাগ থাকছে না।

দীপু মনি বলেন, শুধু জ্ঞান নয়, এর সঙ্গে দক্ষতা অর্জনই হলো নতুন কারিকুলামের উদ্দেশ্য। এখন পাইলটিং চলবে ৬২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এতে সফল হলে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়িত হবে। সে হিসেবে ২০২৪ সাল থেকে আর সায়েন্স, আর্টস ও কমার্স বিভাগ থাকছে না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেখব নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দক্ষতাসম্পন্ন হচ্ছে কি না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুযায়ী সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে কি না। আমরা যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিডব্যাক পাব, তখন নিজেদের সার্থক মনে করব।

তিনি বলেন, আগের পাঠক্রমে সঠিক গন্তব্যের দিকনির্দেশনা ছিল না। সে নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতেই নতুন পাঠক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন পর নতুন একটি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও ল্যাবরেটরির প্রয়োজন হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেরা তা ম্যানেজ করতে পারে তো ভালো। আমরাও করে যাব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠানে তিনটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এ কার্যক্রমে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে যুক্ত ছিল। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সঞ্চালনায় এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম, এনসিটিবি সচিব নাজমা আক্তার, শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. তারিক আহসান প্রমুখ।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।