বরগুনার তালতলীতে স্বামীর জমানো দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে স্ত্রী লামিয়া (২১) পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ (১৮) সাথে পলিয়েছে। এ ব্যাপারে স্বামী তালতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারী) বিকালে লামিয়ার বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি কথা বলে পালিয়ে যায়। উপজেলার লাউপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের কন্যা লামিয়া।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আমতলী পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাসেম ফকিরের পুত্র মন্টু মিয়ার সাথে গত ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে স্বামীর সাথে প্রায় বিরোধ চলছিল। এর ভিতরেই একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তবুও লামিয়ার পরকীয়া থামেনি। এ বিষয়ে এলাকায় বসে একাধিকবার মিমাংশা হয়। পরে গত দুই মাস আগে স্বামী মিন্টু তালতলীতে তাপবিদ্যুৎ কোম্পানিতে কাজ করতে আসেন। এজন্য আমতলী থেকে এখানে কাজে যোগদান করতে অসুবিধা হওয়াতে স্ত্রী লামিয়াকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে থেকে তাপবিদ্যুৎ কাজ করবে মিন্টু। সেই জন্য লামিয়া গত মাসে বাবার বাড়ি তালতলীর লাউপাড়া আসেন। এরপরে গতকাল বিকালে স্বামীর থেকে দুই লাখ নগদ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ নিয়ে আমতলীর উদ্দেশ্যে বাবার বাড়ি থেকে যায়। এর পরে লামিয়ার আর কেনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। সাথে থাকা লামিয়ার দুটি ফোন নাম্বার বন্ধ রয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ৪ মাসের সন্তানকে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে স্বামী মন্টু মিয়া গতকাল রাতেই তালতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ বিষয়ে স্বামী মন্টু বলেন, আমার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ নামের ব্যক্তির সাথে পালিয়ে গেছে। গতকাল খোঁজাখুজি করে না পেয়ে প্রথমে আমরা থানায় ডায়েরি করেছি। আজকে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী লামিয়া তালতলী উপজেলার সোনখোলা এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে মাসুদ (১৮) পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে।
লামিয়ার মা রিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে তার শশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে গেছে এখানো কোনো খোঁজ খবর পাইনি।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, গতকাল স্বামী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। গৃহবধূ লামিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।