সরকার অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্মারক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্মারক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবার মতো অন্তঃসত্ত্বা/স্তন্যদানকারী নারীদের মধ্যেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় টিকা কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী অন্তঃসত্ত্বা/স্তন্যদানকারী নারীদের করোনার টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তবে অন্তঃসত্ত্বা/স্তন্যদানকারী নারীদের করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সাধারণ দুটি নির্দেশনা হলো-
- অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে শুধু হাসপাতাল বিশিষ্ট সরকারি টিকাদান কেন্দ্রে টিকা প্রদান করতে হবে।
- টিকা প্রদানের আগে টিকাকেন্দ্রের রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের মাধ্যমে কাউন্সেলিং সম্পন্ন সাপেক্ষে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে টিকা প্রদান করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা শর্তগুলো হলো-
- অন্তঃসত্ত্বা নারী টিকা প্রদানের দিন অসুস্থ থাকলে তাঁকে টিকা প্রদান করা যাবে না।
- অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীকে করোনার টিকা প্রদান করা যাবে না।
- কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর ভ্যাকসিন অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে তাঁকে করোনার টিকা প্রদান করা যাবে না।
- অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের পর এএফআই কেস হিসেবে শনাক্ত হন, তবে তাঁকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা যাবে না।
- সম্মতিপত্রে টিকা গ্রহীতা/আইনানুগ অভিভাবক ও কাউন্সেলিং চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছাড়া টিকা প্রদান করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২ আগস্ট অন্তঃসত্ত্বা এবং যেসব মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন তাদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার সুপারিশ করে জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ।