ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের যাত্রীর পরিবহনের সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ চাহিদা থাকে ট্রেনের টিকিটের। টিকিট পেতে সবাই একসঙ্গে অনলাইনে যুদ্ধে নামেন। ফলে সার্ভারে চাপ বেড়ে যায়, বিঘ্ন ঘটে টিকিট বিক্রিতে। তাই এই যুদ্ধ থামাতে রেলওয়ের প্রশাসনিক অঞ্চলভেদে গতবারের মতো এবারও দুটি সময়ে টিকিট বিক্রি করা হবে।
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট।
এদিন পাওয়া যাবে ৩ এপ্রিলের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেওয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
জানা যায়, এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট (https://eticket.railway.gov.bd/) ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে।
এবারও শতভাগ টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। টিকিট যার, ভ্রমণ তার এই নীতি মেনেই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হবে। ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট রিফান্ড/ফেরত দেওয়া যাবে না। ঈদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটও অনলাইনে পাওয়া যাবে। একজন যাত্রী শুধুমাত্র ঈদের আগে একবার এবং ঈদের পরে একবার করে টিকেট নিতে পারবেন। একজন যাত্রী একটি আইডি দিয়ে মোট ৪টি টিকিট নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে যাত্রীর সঙ্গে থাকা বাকি ৩ সহযাত্রীর বিবরণ টিকেটে উল্লেখ করতে হবে।
সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে
একতা এক্সপ্রেস (৭০৫/৭০৬), করতোয়া এক্সপ্রেস (৭১৩/৭১৪), কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (৭১৫/৭১৬), সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬), রুপসা এক্সপ্রেস (৭২৭/৭২৮), বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (৭৩১/৭৩২), তিতুমীর এক্সপ্রেস (৭৩৩/৭৩৪), সীমান্ত এক্সপ্রেস (৭৪৭/৭৪৮), লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫১/৭৫২), সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩/৭৫৪), মধুমতী এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬), দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৭/৭৫৮), পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯/৭৬০), সাগড়দাড়ি এক্সপ্রেস (৭৬১/৭৬২), চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৩/৭৬৪), নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৫/৭৬৬), দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস (৭৬৭/৭৬৮), ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯/৭৭০), রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১/৭৭২), সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫/৭৭৬), ঢালারচর এক্সপ্রেস (৭৭৯/৭৮০), টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (৭৮৩/৭৮৪), বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১/৭৯২), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩/৭৯৪), বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭/৭৯৮), বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (৮০৩/৮০৪), চিলাহাটি এক্সপ্রেস (৮০৫/৮০৬) এবং বুড়িমারী এক্সপ্রেস (৮০৯/৮১০)।
দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে
সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২), গোধূলি/প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭০৩/৭০৪), তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭/৭০৮), পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯/৭১০), উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১/৭১২), জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস (৭১৭/৭১৮), পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯/৭২০), মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২), উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪), মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০), অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫/৭৩৬), এগারোসিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭৩৭/৭৩৮), উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯/৭৪০), তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩/৭৪৪), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫/৭৪৬), এগারোসিন্ধুর গোধূলি এক্সপ্রেস (৭৪৯/৭৫০), কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩/৭৭৪), হাওড় এক্সপ্রেস (৭৭৭/৭৭৮), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮১/৭৮২), বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭/৭৮৮), মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮৯/৭৯০), জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯/৮০০), চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১/৮০২), কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩/৮১৪) এবং পর্যটক এক্সপ্রেস (৮১৫/৮১৬)।