ক্রিকেট মাঠে দুর্দান্ত একটি বছর পার করছে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যেন রীতিমত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে অধিনায়ক বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও টুর্নামেন্টজুড়ে দাপট দেখায় পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয়। এরপর বাংলাদেশ সফরে এসে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে। ঘরে ফিরেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান। করাচিতে ৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজকে হারিয়ে ৬৩ রানে।
সোমবার এই জয়ের মধ্য দিয়ে রেকর্ড বইয়ে বাবরের দল। এক পঞ্জিকাবর্ষে টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ১৮টি ম্যাচ জয় পাকিস্তানের। অবশ্য তারা নিজেরাই নিজেদের রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে ২০১৮ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ১৭টি ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। বিশ্বের আর কোনো দল এখনো এক বছরে এতোগুলো ম্যাচ জিততে পারেনি। এই সিরিজের এখনো ২ ম্যাচ বাকি। বছর শেষে সংখ্যাটা আরো বাড়িয়ে নেওয়ার সযোগ পাকিস্তানের সামনে।
করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় উইন্ডিজ। সফকারীদের ভুলের সুযোগ বেশ ভালোভাবে কাজে লাগান পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। বাবর রানের খাতা খুলতে না পারলেও বছরজুড়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করা ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। ৫২ বলে বাউন্ডারি হাঁকান ১০টি। ফিফটির স্বাদ পান হায়দার আলি। ৩৯ বলে ৬৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
শেষদিকে মোহাম্মদ নেওয়াজের ১০ বলে অপরাজিত ৩০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২০০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ক্যারিবীয়দের পক্ষে রোমারিও শেফার্ড সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।
২০১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেনি উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১৩৭ রানেই গুঁটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে ওপেনার শাই হোপের ব্যাট থেকে। ৬৩ রানের বড় জয় পায় পাকিস্তান। স্বাগতিকদের পক্ষে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৪ এবং শাদাব খান ৩টি উইকেট নেন।