আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি আইন ও সংবিধানের অধীনে সেই দায়িত্ব অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন করতে হবে। কোনো দল না আসলে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। তবে বারবার আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।’
এসময় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনা সদস্যদের অংশগ্রহণেরও প্রয়োজন হতে পারে।
এসময় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে সব দলকে আহ্বান করছি জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি আইন ও সংবিধানের অধীনে সেই দায়িত্ব অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন করতে হবে। কোনো দল না আসলে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। তবে বারবার আমরা আপনাদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।’
সিইসি বলেন, ‘পেশিশক্তি যাতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এজন্য সবার সহযোগিতা চাইবো। নির্বাচন কমিশন একা করবে না। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এমনকি সেনাবাহিনীরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন হতে পারে। আমরা সেই অর্থেও কাজ করবো।’
নির্বাচন সংক্রান্ত আইনে কমিশনকে বেশ খানিকটা ক্ষমতা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করে যেন সম্ভাব্য সহিংসতা বা পেশিশক্তির প্রয়োগ কমাতে পারি।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে যে সংশয়, আস্থাহীনতা আছে তা নিয়ে অবহিত আছি। আমরা অন্ধভাবে ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে এর যে কিছু ভাল দিক আছে, মন্দ দিক যা আছে সেটাকে আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সেই সম্ভাব্যটা কতটা বস্তুনিষ্ঠ তা পরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করছি।’
সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে দলটির ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।