বরগুনার তালতলীতে সরোয়ার খলিফা নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে জমি ও ঘরবাড়ি দখলের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ( ১৬ নভেম্বর ) তালতলী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শাহজাহান চৌধুরী। প্রভাবশালী সরোয়ার খলিফা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৃত্যু আব্দুল হক খলিফার পুত্র।
সংবাদ সম্মেলনে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, মূল মালিক উবাচো এর কাছ থেকে ১৪/৭/১৫ ইং তারিখে জে এল ৪৪ নং মৌজায় এস,এ ৫১৮,৫১৯ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগ হইতে ১৬.৫০ শতাংশ জমি আমার ছোট ভাই জাহাঙ্গীর কবিরের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করছি। দুই বছর পূর্বে উক্ত জমিতে আমি একখানা টিনের ঘর নির্মাণ করি। উক্ত ঘরে আমার ভাগ্নি আফরোজ বেগম তাহার ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছে। বিগত ১/১১/২২ ইং তারিখে তাহার ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকা যায়। কিন্তু চিকিৎসা শেষে বাড়ি এসে জানতে পারে সরোয়ার খলিফা তাহার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত ঘরখানা ভেঙে নিয়ে যায়। উক্ত ঘরে থাকা জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। তারপর উক্ত ঘটনাটি আমাকে জানায়। তারপরে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবী উল কবীর জোমাদ্দারকে জানালে সে আমাকে বলে সকালে ডেকে মিমাংসা করে দেব। সে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সময় দিতে পারে নাই। কিন্তু সরোয়ার কে অবগত করানোর পরেও সে তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আমার জানামতে উক্ত সরোয়ারের জমি জমা দখল করা তার নেশা ও পেশা।
অভিযুক্ত সরোয়ারের বিরুদ্ধে রাখাইন থুই মং সুইং এর ৪৪ নং বড়বগী মৌজায় এস.এ ৫১৮,৫১৯ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগ হইতে ৪ একর সম্পত্তি জোর করে দখল ও সদর ইউনিয়নের খলিল জোমাদ্দারের এর ৪৪ নং বড়বগী মৌজায় এস.এ ৫১৮.৫১৯ নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগ হইতে ১৬.৫০ শতাংশ জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সরোয়ার খলিফা বলেন, এই সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এগুলো করতেছে। কলাপাড়া চিংনেশে মগ্নী তার কাছ থেকে আমি এ জমি ক্রয় করি। চিংনেশে মগ্নী মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের এপিলেড ডিভিশনের রায়ের মাধ্যমে মালিক হন এবং পরবর্তীতে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতির মাধ্যমে আমার কাছে বিক্রি করেন। আমার ক্রয় করা জমি আমি ভোগদখল করতেছি।