সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন আজ। একই সঙ্গে ঈদ পরবর্তী বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন। সকাল সাড়ে নয়টায় আজিমপুর বাসস্ট্যান্ডে লকডাউন কার্যকরে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ রাস্তায় বিগত দুই দিনের তুলনায় গাড়ি ও মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। একের পর এক গাড়িকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা। বেশির ভাগ গাড়িতেই রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ডাক্তার বা সরকারি অফিসের স্টিকার।
দায়িত্বরত লালবাগ জোনের সার্জেন্ট জেসমিন আক্তার বলেন, ‘ছুটি শেষ, তাই মানুষ বেশি। গতকাল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ছিলো। তাই রাস্তায় মানুষের সংখ্যাও কম ছিলো। আজ থেকে ব্যাংক, আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলা। তাই গাড়ি এবং মানুষের উপস্থিতির সংখ্যা বেড়েছে। অনেকেই বিভিন্ন ডাক্তার বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা সরকারি স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে বের হয়েছে। তাঁদের সত্যতা আছে কি-না দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
‘স্যার আমারে ছাইড়া দেন। আমি হার্টের রোগী। রিকশা চালাইয়া ইনকাম করি। হেইডা দিয়াই নিজের চিকিৎসা করি’-এভাবেই ব্যাটারি রিকশা চালক হারুনুর রশিদ লালবাগ জোনের সার্জেন্ট আবদুল্লাহ আল নোমানের কাছে রিকশা ছাড়ানোর আকুতি করছিলেন।
পরে সার্জেন্ট আবদুল্লাহ আল নোমান তাঁকে বুঝিয়ে ছেড়ে দেন। পরে তিনি বলেন, ভাই আমাদের তো আইন প্রয়োগ করতেই হবে। না হলে মানুষকে বিধিনিষেধ মানানো কঠিন হয়ে যাবে। এত কড়াকড়ির পরও মানুষ অকারণে গাড়ি নিয়ে বের হয়।
কোন কারণ দেখাতে না পারায়। সকাল নয়টা সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দুটি ব্যক্তিগত গাড়িকে দুই হাজার চার শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।