দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে সোমবার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, ঢাকা, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, পিরোজপুর, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুপুর ২টায় শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩১টি জেলার ফলাফল পাওয়া গেছে। বিস্তারিত স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদে
ফরিদপুর : ফরিদপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন।
রাজশাহী : রাজশাহী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আক্তারুজ্জামান আক্তার পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। মোটরসাকেল প্রতীকে লড়ছিলেন তিনি। ভোট গণনা শেষে মীর ইকবালকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ১৮৫ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৯টি ভোটকেন্দ্র ও ১৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে ১৮ জন এবং ৩৯ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ (তালগাছ) প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসার মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ (তালগাছ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪২৮টি ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দীপক কুন্ডু (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমামুজ্জামান চৌধুরী রিটু(আনারস) প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ২৮ ভোট।
নরসিংদী : নরসিংদীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইশরাত উদ্দিন আহমেদ মনির আনারস প্রতীক নিয়ে ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এই জেলায় মোট ৩টি আসন বা পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নড়ছেন ১০ জন।
খুলনা : খুলনা জেলা পরিষদে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। আর ডা. শেখ বাহারুল আলম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ ভোট।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এদিন বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন আনারস প্রতীকে ৪৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) কে এম বজলুল হক খান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট। সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (তালগাছ প্রতীক) আবু বকর সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আতাউর রহমান সরকার আতা (ঘোড়া প্রতীক)।
পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হান্নান শেখ। তিনি পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।
যশোর : যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাইফুজ্জামান পিকুল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আনারস প্রতীকের মারুফ হোসেন কাজল।
নড়াইল : নড়াইল জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত চয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ সমর্থিত চশমা প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম আমিন পেয়েছেন ৪৫৮ ভোট। সোমবার বিকেলে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক।
নেত্রকোণা : নেত্রকোণা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজল (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসমা আশরাফ।
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন আ.লীগ মনোনীত মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ নজরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খলিলুল্লাহ্ ঝড়ু পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট। ১৬১ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
জেলার সাতটি উপজেলার ১২টি ভোটকেন্দ্রে ১০৫৯ ভোটারের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১০৫৫ জন। বিজয়ী প্রার্থী নজরুল ইসলাম বর্তমানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্বাচনকে ঘিরে জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
নাটোর : নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খাঁন বেসরকারিভাবে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত ঘোড়া প্রতীকের নুরুন্নবী মৃধা পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।
গাজীপুর : গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন (মোটরসাইকেল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন এসএম মোকসেদ আলম (আনারস)।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত খাজা সামছুল আলম ২৯৫ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৯১ ভোট পেয়ে পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাসদ সমর্থিত আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৯৬ ভোট পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আরেফিন আলম রঞ্জু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম পেয়েছেন ২ ভোট।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ উদ্দিন পেয়েছেন ২৫৭ ভোট।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত আনারস প্রতীকের খলিলুর রহমান মোহন পেয়েছেন ৪৭১ ভোট।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৬০৪ ভোট পান। বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সাবেক ছাত্র নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ১৭৬ ভোট পেয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রসুল (আনারস) পেয়েছেন ১১৫ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল মামুন সরকার ৮২০ পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী শফিকুল আলম পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট।
রংপুর : রংপুর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট। তিনি আনারস প্রতীকে লড়ছিলেন।
ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
নীলফামারী : নীলফামারীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। ৯৬১ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আবু নাইম মো. শিবলী খায়ের পেয়েছেন ৭৭ ভোট এবং অপর প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল হক পেয়েছেন ৪৩ ভোট।
বগুড়া : বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ডা. মকবুল হোসেন পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চাঁদপুর : চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী মোবাইল প্রতীকে ৭৩৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন প্রধানিয়া পেয়েছেন ৫২২ ভোট।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ভোট বেশি পেয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ড. হারুন অর রশীদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কক্সবাজার : কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শাহিনুল হক মার্শাল।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ১২৪ ভোট।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৫টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৭৩০ ভোটারের মধ্যে ২ হাজার ৬৯৪ জন ভোট দিয়েছেন। এরমধ্যে ৩টি ভোট বাতিল হয়েছে।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সদর উদ্দিন খান আনারস প্রতীক নিয়ে ৭৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মহসিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০৪। ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং অফিসার ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামে অনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান।
মাগুরা : মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া মার্কা প্রতীকের শরীয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া পেয়েছেন ১২৯ ভোট ।
শেরপুর : শেরপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবির রোমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আনারস প্রতীকের চন্দন কুমার পাল পেয়েছেন ১৮৭ ভোট।
দিনাজপুর : দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী মো. দেলওয়ার হোসেন (আনারস-প্রতীক) চেয়ারমান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ১৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. তৈয়ব উদ্দীন চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২২৬ ভোট এবং জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. আজিজুল ইমাম চৌধুরী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮ ভোট।
গাজীপুর : গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৩০টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে এস এম মোকসেদ আলম চশমা প্রতীকে ২৯৪টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান ও চশমা প্রতীকে মো. সামসুদ্দিন খন্দকার তিনটি ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে দ্বিতীয়বাবের মতো জেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সব কটি ভোটকেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
ইসি জানিয়েছে, ২৬ জেলায় চেয়ারম্যান পদে ছাড়াও নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ১৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদের সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এই দুই জেলায় ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না।
ইসি জানিয়েছে, আজকের নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৯২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৭টি জেলায় মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি এবং ভোটকক্ষ ৯২৫টি।