বরগুনার তালতলীতে ফকিরহাট বাজারে রাতে আগুন লেগে ৮টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দুইকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার(২৪ জুলাই) রাত আড়াই টার দিকে একটি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। সেখান থেকেই আশপাশের আরও ৭টি দোকানে আগুন লাগে। খবর পেয়ে তাালতলী ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় ভোর ৫ টার দিকে। তবে এলাকাবাসী প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজারের রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে জব্বার নামের এক ব্যবসায়ীর দোকান বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট আগুনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে দ্রুত আরও ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এতে পুরো আটটি দোকান পুরের ছাই পুড়ে হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ফায়ার ষ্টেশনে জানালে তারা প্রায় দুই ঘন্টা ঘটনাস্থলে আসেন ততক্ষণে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই আগুনে একটি সিলভারের শোরুম, দুইটি মুদি দোকান, দুইটি ফার্মেসি দোকান, একটি বয়লারের মুরগী দোকান, একটি ফার্নিচারের দোকানসহ মোট ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য টুকু সিকদার।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আগুন লাগার দুই ঘন্টায় তালতলী থেকে ফকিরহাট বাজারে আসতে পারেনি। যেখানে তালতলী থেকে ফকিরহাট বাজারে আসতে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন যদি সময় মতো ঘটনাস্থলে আসতো তাহলে আমাদের এতো ক্ষয়ক্ষতি হইতো না।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জব্বার হাওলাদার বলেন, ‘সব সহায়সম্পত্তি বিক্রি ও ঋণ করে বছরখানেক আগে একটি সিলভারের শোরুম ও দোকান দেই। রাতে আগুন লেগে দোকানটি পুড়ে গেছে। এতে আমার শেষ সম্বলটুকু এখন ছাই হয়ে পড়ে রয়েছে। আমি পথে বসে গেলাম।তিনি আরও বলেন, আমার প্রায় ৭৫ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তালতলী ফায়ার ষ্টেশনের সাব অফিসার মো. আহসান হাবিব বলেন, আমরা ৩ টা ৫০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই সাড়ে ৪টার দিকে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি। এছাড়াও স্থানীয়দের ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিক্তিহীন। তবে ৮টি দোকান পুড়ে গেছে।