বরগুনার তালতলীতে দোকানের পাওনা টাকা চাওয়াতে মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষন মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগির পরিবার। তাদের দাবি সুষ্ঠ তদন্ত করলেই বের হয়ে আসবে রহস্য। শনিবার (৩ অক্টোবর) তালতলী সাংবাদিক ফোরামে এসে শশুরের পক্ষে সাংবাদ সম্মেলন করেন পুত্রবধু ফাতেমা ।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার শশুর মো. সোবাহান হাওলাদার(৬৫) ফকিরহাট বাজারে দীর্ঘ ২০ বছর মুদি দোকান দিয়ে আসছেন। তার দোকানে ক্রেতা ইদুপাড়া এলাকার কালাম এর কাছে বকেয়া টাকা নিয়ে বেশ কয়েক বার ঝামেলা হয়েছে। এরই জের ধরে তার মেয়েকে পরিকল্পতিভাবে গত সোমবার ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে দোকানে বিস্কুট ক্রয়ের জন্য পাঠায় কালাম। মেয়েটি দোকান থেকে বিস্কুট নিয়ে চলে যায়। এর কিছু সময় পরই ওতপেতে থাকা ফারুক ফিটার দোকানে উঠে কিছু খোঁজাখুজি করেন এবং কিছু রাখার চেষ্টা করেন। এই দেখে আমার শশুর ফারুক ফিটারের কাছে খোঁজাখুজির বিষয় জানতে চাই তিনি রহস্যজনক কথাবার্তা বলেন। এই কথা শুনে আমার শশুর রাগারাগি করলে সে তার ভুল স্বীকার করে চলে যায়। এই ঘটনার জের ধরে আমার ৬৫ বছরের শশুরের নামে (১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তালতলী থানায়। সাথে সাথে পুলিশ আমার শশুরকে আটক করে কোর্টে চালান করে দেন। যদি সত্যিকারের ধর্ষক হইতো তাহলে ঘটনার দিন কেন মামলা করলো না। তারা মামলায়ও ঘটনা ২৮ সেপ্টেম্বর দেখাইছে। আমরা এই মামলার সুষ্ঠ তদন্ত চাই তাহলেই এই মামলার সঠিক রহস্য বের হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য মেয়ের আবুল কালাম (১সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার রাতে তালতলী থানায় নারী নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারার ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সোবাহান হাওলাদার (৬৫) কে ফকিরহাট বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।