বরগুনার তালতলীতে প্রাইভেটের টাকা নিয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে মেয়ে সিমা (১৭) আত্মহত্যা করেছে। পরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সিমার ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেন।
শনিবার(০৯ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলা পূর্ব ঝাড়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যু সিমা উপজেলার পূর্ব ঝাড়াখালীর খালেক আকন্দের মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিমা তালতলী সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া করেন। সেই জন্য ঔ কলেজের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। সিমা প্রাইভেটের টাকা পরিবারের কাছে চায়। সিমার বাবা দিনমজুরের কাজ করায় টাকা দিতে কিছুদিন সময় চায়। এই প্রাইভেটের টাকা নিয়ে সকালে সিমা ও তার মায়ের ভিতরে কথার কাটাকাটি হয়। পরে মায়ের সাথে অভিমান নিজ ঘরের রুয়া সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তালতলী পুলিশের একটি টিম গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সিমার লাশ উদ্ধার করেন।
সিমার মা বলেন, আমরা গরিব আমাদের সংসার তবুও মেয়েকে লেখাপড়ার জন্য চেষ্টা করেছি। প্রাইভেটের টাকার জন্য আমার সাথে একটু মনোমালিন্য হয় । তবুও প্রাইভেটের ৫’শ টাকা আমি দিয়েছি কষ্ট করে। এর পরে মেয়ে কলেজে না গিয়ে আত্মহত্যা করেন।
তালতলী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান বলেন, সীমা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তবে সে নিয়মিত ক্লাসে আসতো না। তাছাড়া কোন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তেন সেটা আমার জানা নাই। খোঁজখবর নিয়ে আপনাদের জানাতে পারবো।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রাথমিকভাবে যতোটুকু জেনেছি সেটা হলো প্রাইভেটের টাকা নিয়ে মায়ের সাথে মনোমালিন্য হয়েছে। এ কারণে হয়তোবা আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত তিন মাসে তালতলী উপজেলার সরকারি তথ্যমতে ৭ টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।