তেঁতুল ও তেঁতুলের বীজের ব্যবহার পদ্ধতি ও উপকারীতা
logo
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তেঁতুল ও তেঁতুলের বীজের ব্যবহার পদ্ধতি ও উপকারীতা

আব্বাস আলী, ঝিনাইদহ
আগস্ট ৮, ২০২১ ১:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শরীরের দুর্বলতা কমায় আবার রুচি বাড়ায়। তেঁতুল বীজ সাধারন বলকারক, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, বীর্যের উৎপাদন, শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে। মহিলাদের জরায়ুর শক্তিবর্ধন করে। তেঁতুল রক্ত ও পিত্তের প্রকোপ নিবারক এবং স্নিগ্ধকারক ও বিরেচক । বমন রোধ করে, উচ্চরক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করে।

তেতুলের উপকারিতা

১) হজম শক্তি বাড়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে :
পেট ব্যথা বা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যার সমাধান যদি চান, তেঁতুলের সাহায্য নিন।তেঁতুলের মধ্যে টার্টারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম আছে যা কোষ্ঠন্যকাঠিন্য দূর করে। আয়ুর্বেদে এখনও তেঁতুল পাতা ডায়েরিয়া সারাতে ব্যবহার হয়। এছাড়াও তেঁতুল গাছের ছাল এবং শিকড় পেটের ব্যথা দূর করতে ব্যবহার করা হয়।

২) ডায়বেটিস কন্ট্রোল করে :
তেঁতুলের বীজ ডায়বেটিস কন্টোল করতে সক্ষম। আবার রক্তে চিনির মাত্রাও ঠিক রাখে। এতে উপস্থিত এক ধরণের এনজাইম যার নাম (alpha-amylase)রক্তে চিনির মাত্রা কমায়।

৩) ওজন কমায় :
তেঁতুলে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার আছে আবার একই সঙ্গে এটা সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রি। গবেষণায় দেখা গেছে যে রোজ তেঁতুল খেলে ওজন কমে।

ওজন কমাতে flavonoids and polyphenols এর উপস্থিতি কাজ করে। এছাড়াও এর উপস্থিত hydroxycitric acid খিদে কমায়।

৪) পেপটিক আলসার রোধ করে :
পেপটিক আলসার বেশির ভাগ সময় পেটে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে হয়। এই আলসার খুব বেদনাদায়ক। রিসার্চে দেখা গেছে তেঁতুলের বীজের গুঁড়ো নিয়মিত খেলে পেপটিক আলসার সেরে যাচ্ছে।

৫) হৃদয় ঠিক রাখে :
তেঁতুল খুবই হার্ট ফ্রেন্ডলি। এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভরনয়েড ব্যাড কোলেস্টেরল কমায়। আবার রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ( এক ধরণের ফ্যাট ) জমতে দেয় না। এতে উপস্থিত উচ্চ পটাশিয়াম রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৬) ক্যান্সার রোধ করে :
তেঁতুলে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা কিডনি ফেলিওর এবং ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।

৭) ক্ষত সারিয়ে তোলে :
তেঁতুল গাছের পাতা এবং ছাল অ্যান্টি সেপটিক এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। এটি ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

৮) ত্বক উজ্জ্বল করে :
তেঁতুল ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে-র হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। যাদের অ্যাকনে আছে তাদের জন্যেও উপকারী তেঁতুল।

তেঁতুলে উপস্থিত হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের এক্সফলিয়েশন করতেও সাহায্য করে। যার ফলে মরা কোষ উঠে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।

৯) সর্দি কাশি সারাতে সাহায্য করে :
তেঁতুলে antihistaminic properties প্রপার্টি আছে। যার ফলে অ্যালার্জি হতে বাঁধা দেয়। আবার এতে উপস্থিত ভিটামিন C শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়।

১০) লিভার সুরক্ষিত রাখে :
তেঁতুল আমাদের লিভার বা যকৃতকেও ভালো রাখে। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত তেঁতুল পাতা ব্যবহার করে উচ্চ মাত্রায় মদ্যপানের ফলে ড্যামেজড লিভার অনেকটা সেরে উঠেছে।

বীজের সেবন মাত্রাঃ বীজের পাউডার ৩ থেকে ৭ গ্রাম।

খাওয়ার সাধারণ নিয়মঃ রাতে ১ চামচ পাউডার হাফ গ্লাস পানিতে ভেজাবেন এবং সকালে শুধু পানিটুকু খাবেন ও নিচে জমানো অংশ ফেলে দিবেন। সকালেও একই নিয়মে ভেজাবেন ও একই নিয়মে রাতে খাবেন। অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পরামর্শ নিয়ে খাবেন।

মোঃ আব্বাস আলী
সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা বিভাগ)
জি, টি ডিগ্রী কলেজ, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ।
সুত্রঃ বিভিন্ন গণমাধ্যম।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।