ধর্ষণের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’-এর সংশোধনীর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। মঙ্গলবার সংশোধিত অধ্যাদেশের অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। ২০০৮ সালের আইনের ৭ ধারা, ৯ ধারা (উপধারা ১, ৪, ৫), ১৯, ২০ ধারাসহ কয়েকটি ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এতদিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পাশাপাশি উভয় ক্ষেত্রেই অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।
এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারায় আগে বলা ছিল, যদি কোনও পুরুষ কোনও নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে, তাহলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কিন্তু সংশোধিত অধ্যাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) উপধারার অধীন ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।