বরগুনার তালতলীতে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ১৪ জেলেকে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দ হওয়া ৩টি ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হয় ও ৫০ কেজি ইলিশ বিভিন্ন এতিম খানায় দেওয়া হয়।
সোমবার(০৪ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. কাওসার হোসেন ১৪ জেলেকে ২০ দিন করে কারাদণ্ড ঘোষনা করেন। এর আগে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৎস্য বিভাগের তত্বাবধায়নে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে এসব জেলেদের আটক করা হয়।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, পরিবহন,মজুদ ও বিক্রি বন্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে তিনটি ট্রলারসহ ৫০ কেজি ইলিশসহ আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ২০ দিন করে কারাদণ্ড দেয়। জব্দ করা মাছ এতিমখানায় বিলিয়ে দেওয়া হয়।
কারাদণ্ড দেওয়া জেলেরা হলো,মিজানুর (৪০),মো.আলম(৪০),আবুছলে (৩৫), মো.ফারুক গাজী (৫০), মো.শাকিব (২২), মো.দুলাল (৪০), মো.দেলোয়ার হোসেন (৪৫),মো.হায়দার (৩৫),মো.ইছাহাক মিয়া (৫০), মো.হালিম (৩৫), মো.ছগির (৪০), মো.সালাম (৩৪), মো.হারুন (২৩) ও মো.আবু হানিফ(৪৫)।
তালতলী উপজেলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.মাহবুুবুল আলম জানান, রবিবার রাত ১২টার পর থেকে তত্বাবধায়নে কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশের যৌথ টিম পায়রা নদীতে অভিযান চালায়। এ সময় নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে আটক করা হয়। এদের সাথে থাকা প্রায় ৮১ হাজার মিটার জাল ও ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তিনটি ট্রলার জব্দ করা হয়।