২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নয়াভাইজোড়া বি এন এ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো শহীদ মিনার তৈরি হয়নি।
এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না ভাষার সঠিক তাৎপর্য, জানাতে পারছে না ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।
ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন আজ। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।
তবে প্রতিবারের মতো এবারও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো নয়াভাইজোড়া বি এন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রাত্তন ছাত্র এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ তালতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ইমরান তাহীর বলেন, এই বিদ্যালয়ে একটি শহিদ মিনার নেই এটি প্রাত্তন ছাত্র হিসেবে আমাদের জন্য চরম লজ্জার। তালতলীতে এ স্কুল বাদেও অনেক স্কুল প্রতিটি স্কুলে যদি শহিদ মিনার থাকতে পারে তাহলে এই বিদ্যালয়ে কেনো থাকবে নাহ এই ব্যার্থতা কার?
শহীদ মিনার না থাকার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি ভালোভাবে পালন করতে পারি না। এছাড়া ওইদিন কোনো ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসেনি।
স্থানীয় কিছু ছাত্র-ছাত্রী জানান, ২১ ফেব্রুয়ারির দিন আমাদের স্থানীয় বড় ভাইয়েরা বাঁশ, কলা গাছ ও মাটি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে। আমরা ওখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবির বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য কোন বাজেট আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমি বিষয়টি দেখবো তিনি আরও বলেন চাইলে স্থানীয় জন প্রতিনিধি, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারবে।