‘পদ্মাকন্যা’ শেখ হাসিনা
logo
ঢাকা, সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পদ্মাকন্যা’ শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৪, ২০২২ ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঢাকা: প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন ‘পদ্মা সেতু’। শত বাধা আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘পদ্মাকন্যা’ উপাধি দিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘প্রিয় আপা পদ্মা আপনার জন্য অধীর আগ্রহে আছে। পদ্মা পারের লাখো কোটি মানুষ আপনাকে এক নজর দেখার জন্য সাহসী ও সাহসিকার জননী ‘পদ্মাকন্যা শেখ হাসিনাকে’ চোখের দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে।’

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘আপা গতকাল আমরা কয়েকজন গিয়েছিলাম। পদ্মা আপনার জন্য অধীর আগ্রহে আছে। পদ্মা পারের লাখো কোটি মানুষ আপনাকে এক নজর দেখার জন্য সাহসী ও সাহসিকার জননী পদ্মাকন্যা শেখ হাসিনাকে চোখে দেখার জন্য অপেক্ষা করে আছে।’

অনেকে বলছে উৎসব বন্ধ করতে হবে- এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘প্রিয় নেত্রী আপনি ধারণাই করতে পারবেন না ওখানে শুধু মানুষের সমাবেশ হবে না, ওখানে উৎসবের সমাবেশ হবে।
ওখানে আনন্দের জোয়ারে নতুন পদ্মা সৃষ্টি হবে, সেই অপেক্ষায় আছে মানুষ। পদ্মা সেতু পারাপারের মধ্য দিয়ে ৭৫ এর খুনিদের জবাব দেব।’

পদ্মা সেতুর সমালোচনা করায় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সেদিন একজন বলেছিলেন এখানে ফেরি রাখার দরকার নাই। এটা দৌলতদিয়া পাটুরিয়া পাঠালেই হয়। আমি বললাম না ভাই কিছু ফেরি রাখার দরকার আছে। কারণ খালেদা জিয়ারা তো এই পদ্মায় উঠবে না। ওদের পার হতে হলে এই ফেরিতেই পার হতে হবে। এজন্য ওদের জন্য কয়েকটা ফেরি রেখে দেওয়া দরকার।’

আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে জিয়ার রাজনৈতিক বংশ উচ্ছেদ করতে হবে, সমূলে উৎপাটন করতে হবে। এই অপশক্তি বাংলাদেশকে মানে না। ওরা একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহিদ মিনারে যেতে চায় না। ওরা ৭ মার্চকে স্বীকার করে না, ২৬ মার্চকে স্বীকার করে না, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে না অথচ ওরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে। জিয়াউর রহমান সেদিন সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামানোর একপর্যায়ে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু আজকে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে ওই মুক্তিযুদ্ধে নাম লিখিয়েছিল। আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে।’

‘সেদিন একটা জায়গায় আমাকে বলেছে আপনারা মিলেমিশে থাকতে পারেন না, শুধু এক দল আরেক দলের সমালোচনা করেন? তাদের বললাম আমরা যারা খুনের স্বীকার হয়েছি, যারা আমাদের খুন করেছে, সেই খুনিদের সঙ্গে তো খুনের শিকার হওয়া মানুষদের সহাবস্থান থাকতে পারে না। হয় ওরা থাকবে, না হলে আমরা থাকব, এর মাঝে আর কোনো পথ নাই। সেই পথই আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।