বরগুনার তালতলীতে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নের উত্তর না দেখানো কে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থী কে মারধর করা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার(২৭ মে)দুপুরে তালতলী মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে পুরানো হাসপাতালের ভেতরে ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার তালতলী মডেল মাধমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরিক্ষা চলছিলো। এতে ঐ উপজেলার নয়া ভাইজোড়া বিএন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কিছু অংশ ৫ নং কক্ষে পরিক্ষা দিচ্ছিলেন। পাশাপাশি সিটে নয়া ভাইজোড়া বিএন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ও তালতলী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুল ইসলাম পরিক্ষা দেয়। প্রতিদিনের মতোই হাফিজুল ইসলাম জাহিদুলের পরিক্ষার খাতা দেখে উত্তর লিখতো। আজকের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষায় জাহিদুল ঐ হাফিজুলকে উত্তর পত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানায়। পরিক্ষা শেষে জাহিদুলকে হাফিজুলসহ ৬/৭ জন বহিরাগত কেন্দ্রের পাশেই পুরানো হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরে ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়া জাহিদুল কে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান।
এ ব্যাপারে জাহিদুলের বাবা জাকির খান বলেন, আমার ছেলে জাহিদুল তালতলী মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষের একজন পরীক্ষার্থী। উক্ত কক্ষের আরেক পরীক্ষার্থী হাফিজুল প্রায় প্রত্যেক পরীক্ষার দিনই আমার ছেলের উত্তর পত্র দেখে দেখে লিখে। কিন্তু আজ জাহিদুল উত্তর না দেখালে পরীক্ষা শেষে হাফিজুল তার দলবল নিয়ে জাহিদুলকে মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই।
নয়া ভাইজোড়া বি এন এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব পরিমল চন্দ্র সরকার বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি, আমার কাছে জাহিদুল কে নিয়ে আসলে আমি তাদেরকে চিকিৎসা সহ আইনের আশ্রয় নিতে বলি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মারধরের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।