বরগুনার তালতলী উপজেলার শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ফেলা খাবারের অবশিষ্ট অংশে দূষিত হচ্ছে সৈকত ও এর আশপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ।
জানা যায়, বিশাল বনভূমি ও বালুচর নিয়ে এ শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্রটি যা হয়ে উঠেছে পর্যটকদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। প্রতিদিন সমুদ্রসৈকতে শত শত পর্যটক আসেন ও বিভিন্ন প্রোগ্রামের অনুষ্ঠান হয় এখানে। প্রতি দিন বিকালে সৈকতের মুগ্ধ করা রূপ ও বালুচরে মানুষের ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। আর এই পর্যটকদের সুবিধার্থে এখনে ঘড়ে উঠেছে ৪-৫টি খাবারের দোকান। সময় কাটাতে এসব দোকান থেকে পর্যটকরা নানা রকম খাবার ক্রয় করলেও, এর বর্জ্য সংগ্রহের জন্য এলাকাটিতে কোনো ডাস্টবিন নেই। তাই পর্যটকরা খাবারের উচ্ছিষ্ট, প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট ও পলিথিন সৈকতের ফেলছেন। এতে দূষিত হচ্ছে সৈকতের বালুচর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।
শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা হাসান মাস্টার ও শাহীন মাস্টার নামের পর্যটকরা বলেন, আমরা মাসে দুই একবার এই শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে আসি। এসে প্রায়ই দেখি এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। এভাবে যদি চলতে থাকে এই শুভসন্ধ্যা হারাবে তার সৌন্দর্য ও কমবে পর্যটক। বিশেষ করে এখানে ডাস্টবিনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এমনটা হচ্ছে।
সৈকত রক্ষা কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন ফসল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন পর্যটকদের ফেলা প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এতে সৈকতের চরম ক্ষতি ডেকে আনছে।
তিনি আরও বলেন,সৈকতের ও বনভূমিকে দূষণ থেকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, না হয় চরম ক্ষতির মুখে পড়বে । ঘুরতে আসা পর্যটকদের সহ আমাদের সচেতন হতে হবে। সৈকতের ও বনভূমিতে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন কে সরকারি নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনটা রিসিভ করেননি তিনি।