ফিলিস্তিনিদের হামলায় ইসরায়েলের ৪০ জন নিহত হয়েছেন। অনেক ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী এ হামলায় জড়িত ছিল।
একই সময়ে বেশ কিছু ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা ১৬১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন যে দেশটি এখন যুদ্ধের মধ্যে আছে। এছাড়া তিনি অঙ্গীকার করেছেন যে হামাসকে এ সামরিক অভিযানের জন্য অকল্পনীয় মূল্য দিতে হবে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েলের নাগরিকরা, আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছি। এটা কোনো সামরিক অভিযান নয় বা সংঘাত নয়। আমরা এখন যুদ্ধ করছি।
বছরের পর বছর ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষে এটি সবচেয়ে গুরুতর সংঘাতের ঘটনা।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের রকেট হামলার পর দেশটির সশস্ত্র যোদ্ধারা ভোরের দিকে সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে। ওই ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সংখ্যা কয়েক ডজন বলে জানা গেছে। অপরদিকে হামাসের কিছু রকেট তেল আবিব এবং জেরুজালেমে আঘাত করেছে।
তবে কীভাবে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা বিশ্বের সবচেয়ে ভারী সুরক্ষিত সীমান্তের মধ্যে একটিতে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান গাজায় হামাসের অবস্থানে বিমান হামলা চালাচ্ছে এবং এটি হামাসের ১৭টি সামরিক কম্পাউন্ডে আঘাত করেছে।
ইসরায়েলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, তিনি রিজার্ভ সেনা তলবের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সরকার যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা