নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে বাসররাতে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল, এমন কথা শুনে সকালবেলা আত্মহত্যা করেছেন বর। মেহেদী রাঙ্গা হাতেই বিয়ের পরদিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুলতান মাহমুদ বাদশা। রোববার রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার ওমর আলী হাজী বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ বাদশার সাথে পার্শ্ববতী সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউপির সুরত ভূইঁয়া বাড়ির হানিফের মেয়ে পুষ্প আক্তারের বিয়ে হয়। রোববার সকালে বরের বড়বোন লিজা আক্তার বর-কনের জন্য নাস্তা নিয়ে তাদের কক্ষে যায়। এ সময় বাদশাকে কক্ষে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। পরে পাশের কক্ষে বাদশাকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন লিজা। পরে বাদশাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ি উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুশিল লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সূত্রমতে, পুষ্প নামে ওই নববধূর আগে তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাসররাত কনে পুষ্প বরকে বলেন, আমার সাথে আমার চাচাতো ভাইয়ের প্রেমের সর্ম্পক আছে, আমরা গোপনে বিয়েও করেছি। তোমার সাথে আমার জীবনেও সংসার হবে না। এ কথা গুলো বর তার বড় বোন লিজা আক্তারকে আত্মহত্যা করার ২ ঘন্টা আগে জানিয়ে গেছেন।
সোনাইমুড়ি থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কী কারণে বাদশা আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।