মাকে এগিয়ে নিতে এসে সপ্তম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক কামাল হোসেনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার পুলিশ ওই ছাত্রীর জবানবন্দি এবং লম্পট ধর্ষক কামালকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক জবানবন্দি শেষে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরিক্ষা এবং ধর্ষণ কামালকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে।
জানাগেছে, উপজেলার গেন্ডামারা গ্রামের সপ্তম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে চন্দনতলা গ্রামের মোতালেব মুন্সির ছেলে কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যাক্ত করে আসছিল। কিন্তু মাদ্রাসা ছাত্রী তার প্রস্তাবে সারা দেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয় কামাল। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর মা তার বাবার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ী ফিরছিল। ওই ছাত্রী তার মাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যাচ্ছিল। এই সুযোগে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে লম্পট কামাল তার পিছু নেয়। পথিমধ্যে নির্জন মাঠে মুগডাল ক্ষেতে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ওইদিন সন্ধ্যায় তালতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ ধর্ষক কামালকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার পুলিশ ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর জবানবন্দি ও ধর্ষক কামালকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক ওই ছাত্রীর জবানবন্দি শেষে ডাক্তারী পরীক্ষা এবং ধর্ষক কামালকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিনই পুলিশ ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
ওই ছাত্রীর মা বলেন, লম্পট কামাল মুন্সি প্রায়ই আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যাক্ত করতো। কিন্তু আমার মেয়ে তার প্রস্তাবে সারা দেয়নি। বৃহস্পতিবার আমাকে এগিয়ে নিয়ে আসার সুযোগে একা পেয়ে মাঠে মুগডাল ক্ষেতে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
তালতলী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এবং ধর্ষক কামালকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।