কক্সবাজার সদরের পোকখালীর উত্তর গোমাতলী রাজঘাটবাসীর চলাচল সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়ে পড়েছে। দেখার কেউ না থাকার হতাশ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। এখনো পর্যন্ত সংস্কার নামে আলোর মুখ দেখেনি সড়কটি। বর্তমান সময়ে ডিজিটালের ছোঁয়ায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেই ধাপে ধাপে উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় লবন শিল্প এলাকাখ্যাত গোমাতলীর রাজঘাট সড়কটি পাঁছ বছর ধরে সংস্কার বিহীন পড়ে রয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
এমনি অভিযোগ পোকখালীর ৭নং ওয়ার্ডে বস বাসরত শত শত পরিবারের। এই গ্রামে কজন মুক্তিযোদ্ধার বসবাস, রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া ওয়াদা যেন শুধুই আশা আর হাততালির মাঝে সীমাবদ্ব থাকে। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে সংস্কারের অভাবে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে এ ওয়ার্ডের প্রায় দুই হাজার পরিবারের অন্তত ৪/৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি। ভাঙ্গা সড়কটি যেন দেখভালের কেউ নেই।
বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর সড়কের দু পাশের চিংড়ী মাছের প্রজেক্টের পানিতে যেকোন সময় বিলিয়ে যেতে পারে সড়কটি। এমন আশংকায় এলাকাবাসী। সড়ক যেন মরন দশায় পরিনত।
পোকখালী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক অহিদুর রহমান ইত্তেহাদ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গোমাতলীর রাজঘাট সড়কটি নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। বর্ষার আগে দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের সু-ব্যবস্থা করার দাবী।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার এ বেহাল দশায় পতিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করতে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পোকখালী আওয়ামিলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, সড়কের এই দুঃখ দূর্দশা থেকে রাজঘাটবাসী কবে মুক্তি পাব? এতো কষ্ট মেনে নেওয়া যায়না। গত ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁছটি বছর দূর্ভোগে দিনাতিপাত করেছে এলাকাবাসী। আর কতটি বছর এভাবে কাটাতে হবে। প্রতিনিয়ত ৪/৫ হাজার মানুষ চলা চল করে থাকে সড়ক দিয়ে
পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেয়।