মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় র্যাবের গাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ৮ তরুণ ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চর বাউসিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার এম মুনিরুল আলম প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন- মাে. সুজন (২০), মাে. রাসেল (২৭), মাে. আলাউদ্দিন (১৯), মাে. বাদশা হাসন দিপু (২৩), মাে. সাবির (১৯), মাে. হাবিবুর রহমান (১৯), মাে. মিটু (২৩), মাে. সিয়াম (১৯)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাধারণ যাত্রী ও বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের ডাকাতি করে আসছিল তারা। ডাকাতির সময় যাত্রীদের গুরুতর আহতসহ হত্যার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে ওই ডাকাত দল। ডাকাতি নিরসনে র্যাব-১১ এর দুটি দল বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাদা পােশাকে টহল কার্যক্রম চালাচ্ছিল। রাত ১১টার দিকে তাদের একটি গাড়ি মহাসড়কের ঢাকামুখী নির্জ্জন জায়গায় যানজটে পড়ে। এ সময় সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি মনে করে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গাড়িটিকে ঘেরাও করে। পরে তাদের ধাওয়া করে র্যাব সদস্যরা ৮ জনকে আটক করে। এ সময় ডাকাত দলের ৩-৪ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি রামদা, ৩টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি স্টিলের চাপাতি, ১টি বড় রামদা, ১টি হাতুড়ি এবং ১টি শাবল উদ্ধার করা হয়।
কমান্ডার এম মুনিরুল আলম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত সর্দার সুজন ও তার সহযাগীরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে, মাইক্রাবাসে, প্রাইভটকারে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে আসছিল। গত দুই বছরে তারা এ মহাসড়কে ৫০টির বেশি ডাকাতি করেছে। তাদের আটক করতেই আমরা অভিযান চালিয়েছি। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে। আটক ৮ ডাকাতদের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।