রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২ নভেম্বর) জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২২ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২২’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে রক্ত এবং কর্ণিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরী করতে কর্ণিয়াই প্রধান অবলম্বন। আর্তমানবতার সেবায় স্বেচ্ছায় রক্ত এবং মরণোত্তর চক্ষুদান একটি মহৎ কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ মানুষ নিয়মিত রক্তদান করলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, বরং তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আবার বাংলাদেশে অনেক মানুষ কর্ণিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধত্ব বরণ করছে। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করে একদিকে যেমন মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা যায়, তেমনি অন্ধকে দেওয়া যায় আলোর দিশা। তাই রক্তদানসহ মরণোত্তর চক্ষুদানে দেশের তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা কার্যক্রম আরো জোরদার করা আবশ্যক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি জেনেছি সেবাই আমাদের আদর্শ, এই মহান ব্রত নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সন্ধানী বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া কর্ণিয়াজনিত অন্ধত্ব দূরী করতে মানুষকে মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাসস