বরিশাল-৫ সদর আসন প্রতিটি গ্রাম ও শহর এলাকা স্মার্ট বাংলাদেশ যাত্রার উদাহরণ তৈরির পাশাপাশি উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ১৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
১৯ দফা ইশতেহারে সালাউদ্দিন রিপন বলেন, এই আসনের আওতায় সকল ইউনিয়ন এবং সিটি এলাকাকে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই আমি আজ নির্বাচনী মাঠে। নির্বাচিত হলে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ যুক্ত করে এই আসনের মানুষের জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চাই। আমার নীতি হচ্ছে—দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। নির্বাচিত হলে আমার প্রতিটি পদক্ষেপে ছাপ দেখতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। বরিশাল-৫ (সদর) আসনটিকে স্মার্ট গ্রাম ও স্মার্ট নগরায়ণের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে আমি গোটা দেশে পরিচিত করে তুলতে চাই।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে প্রথমেই তিনটি বিষয়ের উপর জোর দেবো। এর মধ্যে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান। আমি বরিশালের অনেক স্থানে গিয়ে দেখেছি নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারছে না ফলে এসব খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানরা অশিক্ষিত রয়ে যায়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই আসনের সকল ইউনিয়ন এবং সিটি এলাকাতে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হবে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে আর্থিক সহায়তা, বোর্ড ফি প্রদান ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যাপকভাবে সহায়তা অব্যাহত রাখবো।
রিপন আরও বলেন, এছাড়াও বর্তমানে অনেক মায়েরাই জরায়ুর মত ক্যান্সারে ভূগছে। অনেকে লজ্জায় বলতে পারে না। এমনি এ রোগটির কারণে অনেক মায়ের সংসার ভেঙ্গে যায়। এর মধ্যে যারা আবার নিম্ন আয়ের তারা চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। একারণে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবো। আমি নির্বাচিত হলে সরকারের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগেও জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। সরকারের নানা উদ্যোগের মধ্যে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা প্রদান করা হয়। এখানে যাতে সঠিকভাবে এবং সঠিক মানুষকে এ সেবা দেওয়া যায় আমি এটির উপর বিশেষভাবে জোর দেবো।
এসময় তিনি তার ইশতেহারে আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও অস্ত্রধারীমুক্ত সমাজ গঠন, সেবা অ্যাপ চালু করা, খেলাধুলায় উৎকর্ষ সাধন, পার্ক, জলাশয় ও খাল অবৈধ দখলমুক্ত করা, উন্নত কৃষি ব্যবস্থা, দারিদ্র বিমোচন করা, গৃহ মেরামত ও নির্মাণে সহায়তা, ধর্মীয় সহায়তা, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করা, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের পুনর্বাসন, জেলে পল্লীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও সর্বোপরি ফ্রিল্যান্সার তৈরির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই হবে আমার প্রধান কাজ। আমার লক্ষ্য বরিশাল সদর-৫ (সদর) আসনটির অর্ন্তভূক্ত প্রতিটি এলাকাকে নিরাপদ ও শান্তিময় আবাসভূমি হিসেবে গড়ে তোলা। নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণ আমার স্বপ্ন। আমাকে ভোট দিয়ে আপনাদেরকেও এই স্বপ্নের যাত্রার সারথি হতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।