দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রকারভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। আর পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, তা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। রমজানের শুরুতে ভারত থেকে দেশের বাজারে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার খবরে দাম কমে গেছে। এছাড়াও দেশের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধির কারণেও দাম কমে যাচ্ছে।
বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। এখন পেঁয়াজ বিক্রি করে তেমন লাভ হচ্ছে না। কখনও কখনও ৫০ টাকা পাইকারি কিনে তা ৫০ টাকা কেজি দরেই খুচরায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, এবছর অন্যান্য রমজান মাসের চেয়ে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে গেছে। রমজান মাসে পেঁয়াজ অনেক দরকারি পণ্য। দুই সপ্তাহ আগেও ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি হিসেবে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। ৫০ টাকা কেজি হওয়ায় আজ পাঁচ কেজি কিনলাম।
হিলি বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, বর্তমান কেজিপ্রতি পেঁয়াজে ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে। গত দুই দিন আগে ৭০ টাকা কেজি হিসেবে মোকাম থেকে পেঁয়াজ পাইকারি কিনে এনেছি। আজ সেই পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি বিক্রি করছি। মোকামে হঠাৎ পেঁয়াজের আমদানি প্রচুর হওয়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দাম কমে গেছে। তবে যদি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয় তাহলে আরও দাম কমে যাবে।