২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আসরের আয়োজক দেশ যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। বিশ্বকাপ শুরু হতে খাতাকলমে এখনো সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে আগামী বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচন করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি ও লস অ্যাঞ্জেলস। কোথায় হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ? যদিও এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি ফিফা।
সম্প্রতি ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গোল ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তাতে বলা হয়, ২০২৬ বিশ্বকাপ যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। প্রতিবেশী তিন দেশই দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ আয়োজন করতে চায়।
অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপের লোগো উন্মোচনের সময়ও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
তিন দেশের মোট ১৬ শহরের স্টেডিয়ামে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটির ম্যাচগুলো হবে। ধারণা করা হচ্ছে, নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি অথবা লস অ্যাঞ্জেলসে ফাইনাল হবে। এ ব্যাপারে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট শহরগুলোর কিংবদন্তি থেকে শুরু করে হর্তাকর্তারা।
নিউ ইয়র্কের পক্ষে ঢাল ধরেছেন সাবেক মার্কিন ফুটবল কিংবদন্তি মাইকেল স্ট্রাহান। ক্রীড়াভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনকে তিনি বলেন, আমরাই ফাইনাল আয়োজন করতে চাই। এজন্য মেটলাইফ স্টেডিয়ামের চেয়ে ভালো কোনোটিই হতে পারে না।
নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মুরফে বলেন, আমরা কমপক্ষে ৮টি ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছি। আশা করি, প্রতিটি ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাবে। এ নিয়ে গ্যারান্টি দিতে পারি।
তবে লস অ্যাঞ্জেলসের হাই-টেক সোফাই স্টেডিয়ামকে ফাইনালের আয়োজনের দৌড়ে প্রথমে দেখছেন অনেকে। কিন্তু এ নিয়েও কোনো নিশ্চয়তা দেননি ফিফা বস ইনফান্তিনো।