দিন দিন বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। এই কারণে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন সংসার চালাতে। ছোট অংকের খরচগুলোই মাস শেষে বড় আকার ধারণ করে। তাই প্রতিদিনের খরচের হিসাব রাখুন। প্রয়োজনে খাতায় লিখে রাখুন। এতে মাসের শেষে বুঝতে পারবেন কোন খাতে কত খরচ করেছেন আপনি। কোন খরচটি কমানো সম্ভব তাও জানতে পারবেন।
বাড়ির বাইরে বের হলে কিংবা কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে রিকশা বা বাস ব্যবহার করেন অনেকে। ১০ কিলোমিটারে কম পথ হলে কিন্তু সহজেই সাইকেল চালিয়ে যেতে পারেন। এতে শারীরিক ব্যায়াম যেমন হবে, তেমনি বাঁচবে ভাড়াও।
মূল্যছাড়ের দোকান থেকে কেনাকাটা করুন
দামী ব্র্যান্ডের পোশাক পরতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু প্রসঙ্গ যখন সংসারের খরচ কমানো, তখন এটি কিছুদিন এড়িয়ে চলতে পারেন। নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাক না কিনে কিছুটা কমদামী পোশাক কিনুন। সুপার মার্কেট থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস না কিনে বাজার থেকে কেনাকাটা করুন। এতে মাসের খরচ কমবে।
বাসার খাবার অফিসে খান
যদি কর্মক্ষেত্রে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে তবে তো হলোই। কিন্তু সেই ব্যবস্থা না থাকলে অনেকে হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে থাকেন। বাসা থেকে দুপুরের খাবার নিতে চেষ্টা করুন। খরচ কিছুটা হলেও কমবে।
মাটির ব্যাংকে টাকা জমান
এখন আর মাটির ব্যাংকে টাকা জমানোর চল নেই। তবে এটি কিন্তু অর্থ জমানোর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। একটি মাটির ব্যাংক বা জারে রোজ কিছু টাকা জমান। মাসশেষে কিছুটা সঞ্চয় হবে।
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন
সংসারের খরচ কমাতে চাইলে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। ঘর থেকে অল্প সময়ের জন্য বের হলেও বাতি নিভিয়ে রাখুন। এসির মাত্রা অল্প কমান। অপ্রয়োজনে বাহারি বাতি জ্বালানো বন্ধ করুন। সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে এনার্জি সেভিংস বাতি ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে।
বাইরে খাওয়া কমান
প্রিয়জনের সঙ্গে ডিনার ডেট বা বন্ধুদের সঙ্গে হ্যাং আউটে যেতে পছন্দ করেন? সংসারের খরচ কমাতে চাইলে কিন্তু এটি বাদ দেওয়ার বিকল্প নেই। বাইরে খাবারের একটি বড় বিল চলে আসে। তার চেয়ে বরং ঘরে কিছু রান্না করে খান। এতে টাকা বাঁচবে।
সংসারে নানা খরচ থাকবেই। কোনটি অবশ্যই প্রয়োজনীয় আর কোনটি না হলেও চলে তার তালিকা করুন। খরচের ব্যাপারে কিছুটা সাশ্রয়ী হোন। এতে সংসার সামলানো সহজ হবে।