এই দাবদাহে হতে পারে হিটস্ট্রোক। যা ডেকে আনতে পারে অনেক বড় বিপদ। দ্রুত চিকিৎসা না নিলে জীবননাশের ঝুঁকিও থাকে।
হিটস্ট্রোক হলে রোগী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। অজ্ঞান হওয়ার আগে মাথা দপদপ, মাথা ঘোরা, মাথা হালকা অনুভব করা, পেশির দুর্বলতা কিংবা পেশির ব্যথার মতো কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে। কেউ কেউ অনুভব করেন, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যাচ্ছে। খিঁচুনি, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস, বমিভাব কিংবা বমিও হতে পারে। রোগী অসংলগ্ন আচরণও করতে পারেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা
গরমে এমন উপসর্গ দেখা দিলে পর্যাপ্ত ছায়া ও হাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, এমন জায়গায় বিশ্রাম নিতে হবে। ঠান্ডা পানিতে ডুবে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তবে তেমন সুযোগ অনেক ক্ষেত্রেই থাকে না। এমন ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যেতে পারে। সেটাও সম্ভব না হলেও শরীরে ভেজা কাপড় ধরে রাখতে হবে। পানি ছিটিয়ে বা স্প্রে করে নেওয়ার সুযোগ থাকলে সেটিও করতে পারেন। যেভাবেই হোক মাথা, ঘাড়, বগল ও কুঁচকি ভেজানো জরুরি। এসব স্থানে বরফ ধরতে পারলে খুবই ভালো হয়।
গা থেকে অতিরিক্ত কাপড়চোপড় সরিয়ে দিন। যে কাপড়টা পরনে থাকছে, সেটি ভিজিয়ে নিতে পারেন।
এছাড়া রোগীকে ঠান্ডা পানি খাওয়াতে হবে। তবে রোগীর আচরণ অসংলগ্ন হলে, জ্ঞান না থাকলে, খিঁচুনি হলে কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাস অস্বাভাবিক হলে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত পানি খাওয়ানো যাবে না। বরং এমন ক্ষেত্রে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।