গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে। ফলে বিপদে পড়ছেন অনেকেই। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই ফেসবুক নিরাপদ রাখার কিছু সহজ উপায়।
১. লগইন: কখনোই ফেসবুকের লগইন তথ্য ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও প্রবেশ করানো যাবে না। অনেক সময় স্ক্যামাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুক আইডির লগইন ইমেইল বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে।
এরকম ক্ষেত্রে আগে সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল দেখে নিন। ফেসবুকের বাইরে আরও কোনও শব্দ সেখানে থাকলে বা কোনও সন্দেহ হলেই www.facebook.com টাইপ করে অ্যাকাউন্ট খুলুন।
যেখানে অনেক ব্যক্তি একই কম্পিউটার ব্যবহার করেন। সেখানে অবশ্যই ফেসবুক ব্যবহার শেষে লগআউট করুন। যদি ভুলে যান, তাহলে ফোন বা অন্য কোনও কম্পিউটারে ফেসবুকে লগইন করে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইন সেটিংয়ে গিয়ে দেখতে পাবেন সর্বশেষ কোথায় আপনি লগইন করেছিলেন। সেখানে ডিভাইস শনাক্ত করে লগআউট করে দিতে পারেন।
২. সন্দেহজনক কোনও লিংকে ক্লিক না করা: যদি ঘনিষ্ঠ কোনও বন্ধু বা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে কোন ইমেইল, ম্যাসেঞ্জারে বার্তা বা পোস্ট পান, যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেটায় ক্লিক না করা বা সাড়া না দেয়া।
৩. পাসওয়ার্ড: ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য কোনও ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় বা এটি কারো সাথে শেয়ার করা ঠিক না। পাসওয়ার্ড হতে হবে ছোটবড় অক্ষর ও নম্বর মিলিয়ে কমপক্ষে ৮ সংখ্যার, কেউ যাতে সহজে ধারণা করতে না পারে।
৪. বন্ধু বাছাই: ফেসবুকের পরামর্শ, কখনোই এমন কাউকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করা, যাকে আপনি চেনেন না। এক্ষেত্রে হ্যাকাররা হয়তো মিথ্যা পরিচয়ে আপনার বন্ধু হয়ে আপনার টাইমলাইনে স্প্যাম ছড়াতে পারে, আপনাকে বিব্রতকর পোস্টে ট্যাগ করতে পারে বা হ্যাকিংয়ের মেসেজ পাঠাতে পারে।
৫. অতিরিক্ত সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া যায়: ফেসবুকের সিকিউরিটি এন্ড লগইন পাতায় গিয়ে দেখতে পারবেন, কোনও কোনও ডিভাইসে আপনার আইডি লগইন হয়েছে। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি কিছু ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক। এর সবগুলোই রয়েছে আপনার অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি এন্ড লগনই পাতায়।
ফেসবুকের একবারে ডানদিকে যে চিহ্নটি রয়েছে, সেখানে ক্লিক করে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইনে প্রবেশ করতে পারবেন। অন্যদিকে সতর্কতা হিসেবে দ্বিস্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা এবং অন্তত তিনজন বন্ধুকে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক।