এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে সোনাকাটা ইকোপার্কের হরিণগুলো
logo
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে সোনাকাটা ইকোপার্কের হরিণগুলো

মাহমুদুল হাসান (বরগুনা) প্রতিনিধি
জানুয়ারি ২৪, ২০২১ ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইকোপার্কে এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে বৈচিত্র প্রানি হরিণ।

জানা গেছে, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের  অধীনে টেংরা-গিরি বনাঞ্চলের সখিনা বিটের সোনাকাটায় ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়।প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই ইকোপার্কে ৮টি হরিণ, ২৪টি শুকুর, ৮টি চিতাবাঘ,দুটি অজগর ও দুটি সাজারু ছাড়া হয়।এছাড়াও তিনটি কুমির নিয়ে একটি কুমির প্রজনন কেন্দ্র করা হয়। বর্তমানে কোনো হরিণ বা অন্যান্য প্রানি দেখা যাচ্ছে না।মাজে মাজে দুই একটা হরিণের দেখা যায়। গত ২-৩ বছর যাবত জোয়ার ও বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পেয়ে হরিণ বেষ্টনীর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের ২০০-২৫০ ফুটের মত হেলে পড়ে । ওই হেলে পরা অংশ দিয়ে প্রায় সবকটি হরিণ বেরিয়ে যায়।এখনো পর্যুন্তউদ্ধার করতে পারেনি বন বিভাগের লোকজন সেই হরিণগুলো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য টুকু সিকদার বলেন, আমি যতোটুকু জেনেছি বর্তমান বিট কর্মকর্তা একজন ভালো মনের মানুষ তিনি যোগদান করে ইকোপার্কের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার প্রচেষ্টায় পার্ক উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং বন উজাড় থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, বনের ভিতর হরিণগুলো অবাধে ঘোরাফেরা করছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় হরিণের চামড়া সহ নাড়িভুঁড়ি পড়ে আছে। কে বা কাহারা খায়েছে তা আমরা জানিনা তবে মনে হচ্ছে কোন হিংস্র প্রাণী খেয়েছে।

ফকিরহাট বীট কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি এখানে এসেছি মাত্র তিন মাস হয়েছে। আমিও শুনেছি জঙ্গলে অনেক হরিণ অবাধে ঘোরাফেরা করছে। আমরা শেয়াল বা হিংস্র প্রাণীর হাত থেকে রক্ষার জন্য সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করে চলেছি। তিনি আরো জানান, যাতে করে স্থানীয় অসাধু লোকজন প্রবেশ করেই হরিণ শিকার না করতে পারে তার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ শতর্ক অবস্হায় রয়েছি। ধারনা করা হচ্ছে গভীর বনের মধ্যে হরিণগুলো কিছুটা হলেও নিরাপদ  রয়েছে।

তালতলী রেঞ্চ অফিসার মনিরুল ইসলাম  বলেন, প্রতি বছর হরিণ বেস্টনি সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকে এ বছরের বরাদ্দ দিয়ে বেস্টনির কাজ করব।তবে হরিণ রক্ষার স্বার্থে আমাদের লোকজন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।