আমাদের প্রতিদিনের রান্নার কাজেই প্রয়োজন হয় আদার। কারণ বেশিরভাগ রান্নার ক্ষেত্রে আদা ব্যবহার করা হয়। পরিচিত এই ভেষজের রয়েছে অনেক গুণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে আদা। নিয়মিত আদা খেলে যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়। তবে যেকোনো জিনিসেরই একটি পরিমাপ থাকে। অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়। উপকারী আদাও অতিরিক্ত খেলে দেখা দিতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। জেনে নিন অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ক্ষতিকর দিক-
রক্তক্ষরণের ঝুঁকি
আদায় থাকে অ্যান্টিপ্লেটলেট বৈশিষ্ট্য। যে কারণে অতিরিক্ত আদা খেলে তা হতে পারে রক্তক্ষরণের কারণ। রসুন ও লবঙ্গের সঙ্গে আদা খেলে রক্তপাতের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে অতিরিক্ত আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ডায়রিয়ার ঝুঁকি
খাবারে অনিয়ম করলে বাড়ে ডায়রিয়ার ঝুঁকি। এমনকী উপকারী খাবার অতিরিক্ত খেলেও এই সমস্যা হতে পারে। তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে থাকতে হবে সতর্ক। আদা অতিরিক্ত খেলে তাও কিন্তু ডেকে আনতে পারে ডায়রিয়াকে। তাই আদা খাওয়া বা রান্নায় আদা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা
অতিরিক্ত আদা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা দিতে পারে হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা। এছাড়া ঝাপসা দষ্টিশক্তি, অনিদ্রাও হতে পারে আদা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে। এভাবে রক্তচাপের ওঠানামার ফলে হৃদরোগ দেখা দিতে পারে। তাই হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে আদা খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হোন।
ত্বকে সমস্যা
ত্বকে সমস্যা সৃষ্টির জন্য বাইরের ধুলোবলি কিংবা রোদ তো দায়ী থাকেই, সেইসঙ্গে দায়ী থাকে আমাদের খাদ্যাভ্যাসও। যেমন ধরুন অতিরিক্ত আদা খাওয়ার কারণে চোখ ও ত্বকে দেখা দিতে পারে সংক্রমণ। হতে পারে ঠোঁট ফুলে ওঠা, গলায় অস্বস্তির মতো সমস্যাও। এমন ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কতটুকু আদা খাবেন
দিনে ১.৫ মিলিগ্রাম আদা খেলেই যথেষ্ট। বিশেষ করে গর্ভবতী অবস্থায় এর বেশি আদা খাওয়ার কারণে দেখা দিতে পারে মিসক্যারেজের ঝুঁকি। তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে আদা খেতে হবে বা বাদ দিতে হবে।