একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াটা সুস্থতার লক্ষণ। কিন্তু কখনো কখনো পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়তে পারে। এর পেছনে থাকে কিছু কারণ। যদি কখনো পিরিয়ড অনিয়মিত হয়, তবে বুঝবেন শরীরের কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। গর্ভবতী না হয়েও যদি পিরিয়ড অনিয়মিত হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জেনে নিন পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়ার পাঁচটি কারণ-
প্রেগন্যান্সি ও স্তন্যদান
যারা নিয়মিত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাদের পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে পড়লে অতি অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো উচিত। গর্ভাবস্থা ছাড়াও যেসব মা স্তন্যদান করছেন, তাদেরও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার কারণে যদি আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে থাকে, তা হলে সাধারণত মাথা ঘোরা, গা গোলানো, ক্লান্তি এরকম কিছু উপসর্গ থাকে।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
যাদের যৌন সংসর্গ হয়নি কখনো, তাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এই রোগ। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের আরও কিছু লক্ষণ অবশ্য থাকে। যেমন ধরুন,ওজন বেড়ে যাওয়া, মুখসহ শরীরের নানা জায়গায় অবাঞ্ছিত লোম গজানো, ছেলেদের মতো টাক পড়া বা তার আভাস দেখলেই সতর্ক হতে হবে। তবে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে যেমন রক্তপাত অনিয়মিত হয়ে যায়, তেমনই আবার যখন হয় তখন এত বেশি ব্লিডিং হয় যে রক্তস্বল্পতায় ভোগার আশঙ্কাও থাকে।
থাইরয়েডের সমস্যা
থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ওভারঅ্যাকটিভ হলে যতটা সমস্যা, আন্ডারঅ্যাকটিভ হলেও তেমনই সমস্যা। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বাড়লে ঋতুস্রাবের পরিমাণ ক্রমশ কমে আসবে। বাড়বে অ্যাংজাইটি, ভয় পাওয়া, হৃদস্পন্দনের হারও।
এন্ডোমেট্রিওসিস
খুব যন্ত্রণাদায়ক পিরিয়ড, যৌন সঙ্গমের সময় এবং শেষে ব্যথা হওয়া, মলত্যাগের সময়েও তীব্র ব্যথা অনুভব, সেইসঙ্গে অতি স্রাব বা একেবারে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এগুলোই এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি, থাইরয়েডের ওষুধ, অ্যান্টি ডিপ্রেস্যান্ট, ব্যথা কমানোর ওষুধ, মৃগীরোগের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।