‘ধুসর সন্ধ্যা নেমে আসে বুকের গহীনে, অপেক্ষার প্রহর কাটে বিষাদের ছোঁয়ায়, বাউড়ি বাতাসে ঝরে যাওয়া পাতার মতো, জীবন পড়ে থাকে সংসার সমরাঙ্গনে, কেউ রাখেনা তার খবর।’
বাস্তবতার এই পঙতিমালা ফিরোজা সামাদের ‘দীর্ঘশ্বাসে পূর্ণ জীবন আখ্যান’ কাব্যগ্রন্থের ‘সুরে সুরে গান গেয়ে যায় বিরহ’ কবিতার অংশবিশেষ। এতেই বোঝা যায় কতটা ভাবাবেগের সাথে অব্যক্ত কথাগুলো বইয়ের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে কবি ফিরোজা সামাদের গল্পে গল্পে ‘না বলা কথা’য় তুলে ধরেছেন সেই সব মানুষের জীবনের গল্প যে গল্প সহসাই যায় না কাউকে বলা। এছাড়া সমাজের অসহায়, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের বাস্তব চিত্রগুলোও তুলে ধরেছেন তিনি।
বই দুটি ‘পানকৌড়ি’ প্রকাশনা থেকে বের হয়েছে। তবে পরিবেশক প্রকাশনী হিসেবে রয়েছেন “নূর-কাশেম পাবলিশার্স”। যার স্টল নং- ৪৭৯ (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
মেলায় তার আরও যেসব বই পাওয়া যাবে:
০১। ভালোবাসার গল্প শোনাও নিরন্তর ( তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ)
০২। মায়ের বুকে মানবতা কাঁদে (কাব্যগ্রন্থ)
০৩। হেমন্তে ঝরা শিউলি (কাব্যগ্রন্থ)
০৪। চুপিচুপি তোমায় কাঁদাবো (কাব্যগ্রন্থ)
০৫। অপেক্ষার প্রহর (কাব্যগ্রন্থ)
০৬। অমরাবতী ভালোবাসা (উপন্যাস)
০৭। ছোট্ট সোনামণিদের ছড়া (শিশুতোষ)
০৮। নদী ভাঙনের শব্দ (কাব্যগ্রন্থ)
০৯। ঢেউয়ের আঁচল (কাব্যগ্রন্থ)
১০। চার জোনাকির মিলন তিথি (সম্পাদিত) কাব্যগ্রন্থ
১১। ছড়ায় চিনি আমার দেশ (শিশুতোষ)
১২। সামনে দাঁড়িয়ে মহাকাল (কাব্যগ্রন্থ)
১৩। এসো ছড়া শিখি (শিশুতোষ)
১৪। দুই দুয়ারির খেলা (কাব্যগ্রন্থ)
১৫। হে পিতা তোমার তর্জনী যেন শানিত তরবারি (কাব্যগ্রন্থ)
১৬। যে কথা যায়না বলা (গুচ্ছগল্প)
১৭। গল্প ও কাব্যের পরিণয় (অনুগল্প)
১৮। বাংলার কাব্যগাথা (কাব্যগ্রন্থ)
ফিরোজা সামাদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন বরিশাল জেলার পটুয়াখালী মহকুমার অন্তর্গত বরগুনা থানার (বর্তমানে বরগুনা জেলা) নীভৃত ছায়াঘেরা “পাঠাকাটা” নামক পল্লীতে এক বনেদি ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরবিারে জন্মগ্রহণ করেন। তার রচিত শিশুতোষ ছড়ার বইয়ে দেশের কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা, স্বাধীনতার ইতিহাস, জাতির পিতা ও দেশের পাখি পরিচিতি বর্ণনা দিয়ে শিশুদের হাতে তুলে দিচ্ছেন কোনো বিনিময় ছাড়াই। এটা তিনি মানসিক প্রশান্তির জন্য করে আসছেন।
এছাড়া তার লেখা বইয়ের বিক্রয়লব্ধ অর্থ দিয়ে বর্তমানে গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত ৮/১০ টি কিশোরীর শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করছেন এবং ইতোমধ্যে সামর্থ্যের ভেতর থেকে অসহায় এতিম ১০টি মেয়ের বৈবাহিক ব্যবস্থা ব্যয়ভার বহন করেছেন।
তিনি একজন বৃক্ষপ্রেমীও। বায়ুদূষণ নগরে বসবাস করেও তার ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও ফুলের বাগান করে নিজেই নিয়মিত পরিচর্চা করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছেন এবং প্রতিবেশীদের ছাদ বাগান করতে উৎসাহিত করছেন। তার ছাদ বাগান দেখতে সত্যিই অপূর্ব ও মনকাড়া।