হাইকোর্টের সাজা বহালে যা বললেন এমপি হারুন
logo
ঢাকা, শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টের সাজা বহালে যা বললেন এমপি হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ৯, ২০২১ ৪:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দুর্নীতি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে তিনি এ মামলায় যে ১৬ মাস হাজতবাস করেছেন সেই সময়কালই সাজা হিসেবে গণ্য হবে। তাকে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

রায়ের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রায়ের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কারণ রায়ে আমার কারাদণ্ড ও জরিমানা বহাল নেই। ইতোমধ্যে আমার আাইনজীবীরা গণমাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া আদালত মামলার অপর দুই আসামি ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেকের সাজাও বহাল রেখেছেন। তাদেরও আর জেলে যেতে হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন জেলে ছিলাম, সেই দিনগুলোই সাজা হিসেবে রায় প্রদান করা হয়েছে। আগের সাজা বহাল নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আমাকে নতুন করে আর জেলে যেতে হবে না এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও দিতে হবে না।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর এমপি হারুনুর রশীদ এমপিকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন।

শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় আরও দুইজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুনুর রশীদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী।

মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।