বরগুনার তালতলীতে লাইসেন্স না থাকায় ও দায়িত্বরত ডাক্তার না থাকায় একটি ক্লিনিককে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নানা অনিয়মের অভিযোগে আরও দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একটি ফার্মেসিসহ মোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার(১১এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাওসার হোসেন শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে অভিযান চালান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরে বেসরকারী ইসলামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের লাইসেন্স ও দায়িত্বরত ডাক্তার না থাকাসহ দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মের অভিযোগে সিলগালা করা হয়। এসময় ঐ হাসপাতালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নিউ পপুলার ডায়গণষ্টিক সেন্টারে মুল্য তালিকা ও সকল পরিক্ষায় ফার্মাসিষ্টের একার স্বাক্ষর থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তালতলী ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লাইসেন্স না থাকায় ৫ হাজার ও বিসমিল্লা ড্রাগ হাউসে বিভিন্ন কোম্পানির স্যাম্পল ঔষধ ও ড্রাগ রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসব অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মের নিউজ প্রকাশ হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এদিকে একই দিনে মহসীন রেজা নামের এক ব্যক্তি মা ও শিশু রোগের বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত এমন একটি সাইবোর্ড টানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগিদের সাথে প্রতরণা করে আসছে। এমন অভিযোগে ঐ মহসীন রেজা চেম্বারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা হয়। এই রোগের সংশ্লিষ্ট কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি তিনি। পরে ভূয়া কাগজপত্র দেখালে সেগুলো জব্দ করে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমান করা হয় ও তার চেম্বরটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী,সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার,পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.কাওসার হোসেন বলেন, অনুমোদনহীন ও অবৈধ উপায়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়াও বৈধতা না থাকায় ক্লিনিক গুলোর মালিককে অর্থদণ্ড দেওয়া ও একটি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।