তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের বিশেষ কোটা চালু করা হবে : পলক
logo
ঢাকা, বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের বিশেষ কোটা চালু করা হবে : পলক

অনলাইন ডেস্ক
মে ৮, ২০২৪ ২:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নারী গ্রাজুয়েটদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে আইসিটি বিভাগ এরইমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি স্থাপন করা হচ্ছে। যেখানে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখানে আমি নারীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোটা রাখতে চাই।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শি-স্টেম বিজনেস কেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। দ্য কিংডম অব নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে মেয়েদের জন্য একক কোটা রাখা হবে। যেন তারা সহজেই এই খাতে প্রবেশ করতে পারে এবং তাদের অমিত সম্ভাবনা প্রকাশ করতে পারে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারী-পুরুষের সমতা না থাকলে শান্তি ও সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। সেই দর্শন অনুযায়ী গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এর ফলে আজ গ্রাম থেকে বিদেশেও এই প্রকল্পে নারী-পুরুষ উদ্যোক্তার সমতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি গত তিন মাসে ২২টি জেলা সফর করে বুঝতে পেরেছি আমাদের নারী উদ্যোক্তারা ব্যক্তি, পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান উন্নত করেছেন। আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতায় অনন্যতা অর্জন করেছে। এখন আমরা স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নে কাজ শুরু করবো। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির রিসার্চ ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে ভবিষ্যত প্রজন্মকে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও ব্লক চেইন এবং সাইবার সিকিউরিটি মতো বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলবে।

পলক আরও বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাইভেট সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে একটি সমন্বয়মূলক পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন, সমন্বয় সাধন এবং কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের নারী স্টেম গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারি-বেসরকারি সেক্টরে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করতে চাই। শি-স্টেম উদ্যোগটি আগামীতে নারীর ক্ষমতায়নে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈষম্যহীন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করবে।

অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ইরনা ভ্যান ডুরেইন বলেন, ক্যারিয়ারের কোনো লিঙ্গ নেই। বাংলাদেশ স্টেম নিয়ে ভালো করছে। আমরা দেশজুড়ে নারীদের এই শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের পাশে আছি।

দৈনিক বিবর্তন এর প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।