অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের বেশিরভাগই নানা কসরতের পাশাপাশি বিভিন্ন ডায়েট অনুসরণ করে থাকেন। তবে না জেনে বুঝে কখনো ডায়েট অনুসরণ করা উচিত নয়। যেকোনো ডায়েট মানার আগে অবশ্যই সেটি আপনার শরীরের জন্য উপযোগী কি না তা যাচাই করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনার জন্য কোনটি প্রযোজ্য আগে সেটি জানুন। জানলে অবাক হবেন, শুধু শরীরচর্চা নয় বরং সাধারণ কিছু নিয়ম মেনেও আপনি খুব সহজেই ওজন কমাতে পারবেন:
হালকা গরম পানি পান করুন
ওজন কমাতে লেবু-মধু-গরম পানির উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন। তবে শুধু হালকা গরম পানি পান করেও কিন্তু ওজন কমানো সম্ভব। গরম পানি শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়া গরম পানি অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলে শরীরে যে বাড়তি মেদ জমে তা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
৬-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন
ওজন কমানোর আরেকটি উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম। অবাক করা হলেও এটি প্রমাণিত। গবেষণা দেখা যায়, ঘুমের অভাব মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। ফলে ওজনও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। এতে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
স্বাস্থ্যকর ও ঘরের খাবার খান
ওজন কমাতে অবশ্যই দিনে তিনবেলা খাবার খান। শরীরের নিয়মিত হজম প্রক্রিয়ার কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই ডায়েটে সকাল, দুপুর ও রাতে ঘরের খাবার রাখুন। এতে আপনার ডাইজেস্ট প্রক্রিয়া যেমন ভালো থাকবে, তেমনি শরীরে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
রাতের খাবার খান
রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। তবে তা হবে অবশ্যই হালকা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে আপনার রাতের খাওয়া শেষ করুন। তবে ভারি খাবার রাতের বেলা একেবারেই খাওয়া যাবে না।
খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন
খাবার খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটুন। যারা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার সময় পান না। তারা এই কাজ করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে খাবারের ফলে বাড়তি মেদ শরীরে জমতে পারবে না। ফলে ওজনও থাকবে বশে।
মৌসুমি ফল রাখুন পাতে
খাবারের তালিকায় মৌসুমি ফল বেশি রাখুন। শাকসবজির পাশাপাশি বাদাম, কুমড়ার বীজ, মৌসুমি ফল খান। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে ফল। ফলে বারবার খেয়ে ওজন বাড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন খুব সহজেই।