সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের তরমুজ উৎপাদনকারী বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা একটি অন্যতম স্থান। আর এই স্থানিয় বাজারগুলোতে নেই মৌসুমি ফল তরমুজ। উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে উৎপাদিত আগাম চাষকরা তরমুজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হলেও স্থানীয়ও বাজার গুলোতে এ মৌসুমি ফল কিনতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সোমবার (১৮ মার্চ) তালতলীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আশেপাশের বাজারগুলোতে আড়ৎ কিংবা খুচরা দোকানে তরমুজ কেনাবেচা করতে দেখা যায়নি ব্যবসায়ীদের। এর কারণ হিসেবে অসাধু পাইকারদের দোষারোপ করেছেন স্থানীয় আড়ৎদার, খুচরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা।
স্থানীয় রাসেল আকন জানান, তালতলী উপজেলার বিভিন্ন চর এলাকার উৎপাদিত তরমুজ বাজারজাত করা হচ্ছে। অথচ বাজারে আজকে কোন তরমুজ নেই। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কিছু অসাধু পাইকার এসে ক্ষেত হিসেবে তরমুজ ক্রয় করে অধিক মুনফার লোভে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারগুলোতে কেজি হিসেবে বিক্রি করে।
মিজান নামের এক খুচরা তরমুজ বিক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, মুনাফালোভী কিছু পাইকার এসে ক্ষেত থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে অন্যান্য জেলায় মন হিসেবে বেশি দরে বিক্রি করে। আমাদেরও মন হিসেবে কিনে কেজি দরে বিক্রি করতে বিবেকে বাঁধে, বিধায় তরমুজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।
খালিদ মাসুদ নামের এক আড়ৎদার জানান, কিছু অসাধু পাইকারদের কারনে আমরা আড়ৎগুলোতে তরমুজ পাই না। যা পাই সেগুলো উচ্চ মূল্যে কিনতে হয়। বেশি দামে যে কিনবো তাও তো পাইতেছি না। তরমুজ পাওয়ার জন্য আমরা পাইকারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছি।
তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম আকাশ বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ও অতি মুনফালোভী পাইকার তালতলীর উৎপাদিত আগাম তরমুজ ক্ষেত হিসেবে কিনে উচ্চমূল্যে কেজি হিসেবে বিক্রি করে। তালতলীর বাজারগুলোতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি থাকায় এখানে উচ্চমূল্যে তরমুজ বিক্রি করতে না পারার কারনে রাজধানীসহ অন্যান্য জেলায় বিক্রি করে। স্থানীয় মানুষজন বর্তমানে নিজেদের উপজেলার উৎপাদিত তরমুজ কিনেও ক্ষেতে পারছে না। এটা আসলেই দুঃখজনক।